পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেঁজুতি R34 “জন্মদিন” কবিতাটিতে কবি আবার তার পুরাণে ভাবকেই অভিব্যক্ত কোরছেন, বলছেন যে তার যথার্থ স্বরূপটি হোচ্ছে এইখানে যে তিনি পৃথিবীকে ভালবাসতেন। তার এই আনন্দরূপই যথার্থ অমৃত ও সত্য— “তাহারে ডাক দিয়েছিল পদ্মানদীর ধারা, কঁপিন-লাগা বেণুব শিরে দেখেছি শুকতারা ; কাজল-কালো মেঘের পঞ্জ সজল সমীরণে নীল ছায়াটি বিছিয়েছিল তটের বনে বনে ; ও দেখেছে গ্রামের বঁাকা বাটে কাখে কলস মুখর মেয়ে চলে স্বানের ঘাটে, সর্ষে তিষির ক্ষেতে দুই-রঙা স্বর মিলেছিল অবাক আকাশেতে ; তাই দেখেছে চেয়ে চেয়ে অস্তরবির রাগে বলেছিল, এই তো ভালো লাগে। সেই যে ভালোলাগাটি তার যাক সে রেখে পিছে কীৰ্ত্তি যা সে গেথেছিল, হয় যদি হোক মিছে ; না যদি রয নাই রহিল নাম, এই মাটিতে রইল তাহার বিস্মিত প্রণাম ॥* জাবার "প্রাণের দান” কবিতাটিতে তিনি বলেছেন— “অব্যক্তের অন্তঃপুরে উঠেছিল জেগে, তার পর হতে তরু, কী ছেলে খেলায় নিজেরে ঝরায়ে চলো, চলাইন বেগে, মৃত্যুর উৎসাহ সেও অফুরন্ত বুঝি জীবনের বিত্তনাশ করে পদে পদে ।