পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিত "ללא জীবনেরে যাহা জেনেছি, অনেক তাই, সীমা থাকে থাক, তবু তার সীমা নাই। নিবিড় তাহার সত্য আমার প্রাণে নিখিল ভূবন ব্যাপিয়া নিজেরে জানে ৷” রোগশয্যায় ১৩৪৭, পৌষ প্রাণ যেমন অনিঃশেষ, মৃত্যুও তেমনি অনিঃশেষ, অবিশ্রাম খেয়া বেয়ে নামহীন সমূদ্রের দিকে আমাদের যাত্রা—অলক্ষের খেয়া পাড়ি দেওয়া, লক্ষ লক্ষ কোট কোটি প্রাণ চলেছে এই রকমে। মৃত্যুর কবলে এসে যা একান্তভাবে ফুরিয়ে যায় বলে মনে হয় তারও কিছু বাকি থাকে। সেই বাকির ফাকের মধ্য দিয়ে চলে আবার জীবনের যাত্রা, তার লাভও যেমন অফুরাণ তার ক্ষতিও তেমনি অফুরাণ। অবিশ্রাম অপচয়ে সঞ্চয়ের আলন্ত যায় ঘুচে তাতেই আসে শক্তি— "চলমান রূপহীন যে বিরাট, সেই মহাক্ষণে আছে তবু ক্ষণে ক্ষণে নেই, স্বরূপ যাহার থাকা আর নাই থাকা, খোলা আর ঢাকা কী নামে ডাকিব তারে অস্তিত্ব প্রবাহে মোর নাম দেখা দিয়ে মিলে যাবে ষাহে ।” বিশ্বনাথ অজস্র দিনের আলো দিয়ে দুই চক্ষুকে পূর্ণ কোরেছিলেন নানারূপে। ষ্ঠার এ ঋণ শোধ দেবার সময় যখন হয় তখন নানা রোগের মধ্য দিয়ে সে সংবাদ তিনি আমাদের জানিয়ে দেন। কবি বলছেন যে এই সংসারে আমরা অতিথি মাত্র। যেখায় বিশ্বনাথের রথ চলেছে সেইখানেই তিনি রচনা কোরবেন