পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিতা "ל צסי হইয়া উঠুক। মানুষেব সমস্ত বৃত্তিব মধ্য দিয়া মানুষ যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত, তাহা অহুভব কবিয়া হৃষ্ট হইতে চায়। আমাদেব যেটুক ধনের প্রয়োজন শুধু সেইটুকু পাইলেই আমরা স্বধী হই না, আমবা চাই ধনী হইতে। যেটুকু জ্ঞানে আমাদেব চলে সেইটুকুতেই আমবা মুখী হই না, আমবা চাই জ্ঞানী হইতে । আমবা যে আমাদেব প্রয়োজনেব চেয়েও অনেক বড়, ঐটুকু অনুভব করিতে না পাবিলে আমবা আমাদিগকে তুচ্ছ মনে কবি। নানাবিধ তথ্যে আমাদের মস্তিষ্ক পবিপূর্ণ কবিয়া আমবা শান্তি পাই না, আমবা চাই নূতন কিছু কবিতে, আমবা চাই স্বষ্টি কবিতে। যাহা আছে তাহাতে আমাদেব কুলায় না, নিত্য নূতন উপকবণ স্বষ্টি কবিলে তবে আমাদেব আনন্দ । এই পৃথিবীব নিকট যখন আমবা আমাদেব ইন্দ্রিয়েব দ্বাব দিয সন্নিহিত হই, তখন দেপি বর্ণ গন্ধ স্পৰ্শ। বৈজ্ঞানিক ও ইন্দ্রিয়েব দ্বাবাই পৃথিবীব সন্নিহিত হন, কিন্তু এই বর্ণ গন্ধ স্পর্শের সঙ্গে তবে বিশেষ সম্বন্ধ নাই । তিনি ব্যস্ত থাকেন ইহাদেব অস্তর্নিহিত স্পন্দন-শক্তিব পৰিচয় নির্ণয়ে । স্পন্দাত্মক যাহা কিছু বহির্জগতে থাকুক না কেন, তাহাব সহিত বর্ণ গন্ধ ও সঙ্গীত লোকের কি সম্পর্ক তাহা বিজ্ঞান নির্ণয় কবিতে চেষ্টা কবে না। বিজ্ঞান বলে, এই পবিচয়েব স্পন্দনকে লোকে দেখে লাল, এই পবিচযেব স্পন্দনকে লোকে দেখে পীত, কিন্তু পীত ও লাল লইয়া বৈজ্ঞানিকেৰ কোন ব্যস্ততা নাই, তাহাব আদর্শ ইহাদেব আভ্যস্তৰীণ স্পন্দ-সত্তা লইয়া । কিন্তু আমাদের মনোলোক এই ইন্দ্রিয়গ্রাহ সত্ত লইয়া, এই বর্ণ গন্ধ গান লইয়া নিবস্তব ব্যস্ত থাকে। ইহাদেব অস্তবালে কি স্পন্দশক্তি আছে তাহাব পবিচয় আমবা সাধাবণ ভাবে আমাদেব ইন্দ্রিয় দ্বাবা পাই না । তাহাদেব পবিচয় পাইতে হইলে আমাদেব ইন্দ্রিয়গ্রাহ প্রকৃতিকে যন্ত্রেক মধ্য দিয়া বিশ্লেষণ কবিতে হয়। এই জগতেব রূপ শব্দ গন্ধ প্রভৃতি নিরস্তব আমাদেব সম্মুখীন হইয়া আমাদেব অন্তবেব বীণাকে ঝঙ্কত কবিয়া, আমাদেব মধ্যে নিরস্তব রসস্থষ্টি কবিয়া থাকে, সেইজন্য মানুষেব সহিত আমাদেব পরিচয়ে আমবা , যেমন নিরস্তব তাহার সহিত আমাদের প্রীতি ও স্নেহের বিনিময় কবিয়া থাকি, এই