পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২২ রবি-দীপিতা ইংরেজের কাছে ভারতবর্ষের প্রকৃতি আনন্দের ধন নহে, তাহার কাছে ইহা একটি বিরাট ব্যবসার ক্ষেত্র মাত্র। তাই ইংরেজ এদেশে প্রাসাদের পরিবর্তে গুদাম নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকে । আমাদের অস্তরের অনুভূতিকে আমাদের অধ্যাত্মলোকের রসস্পর্শকে আমাদের আনন্দ-পুরুষের স্বচ্ছন্দ ব্যক্তিকে প্রকাশ করার ভঙ্গিকে আর্ট বলা যাইতে পারে। অনেকে বলিয়া থাকেন যে সৌন্দৰ্য্য স্বষ্টি আর্টের উদ্দেশু, কিন্তু কবিগুরুর মতে এ কথা ঠিক নহে। যে উপায়ে বা প্রকারে, যে দ্বার পথে আমাদের অধ্যাত্মলোক আত্মপ্রকাশ করিয়া থাকে, আমাদের অধ্যাত্ম ব্যক্তি তাহার রসালোড়নের পরিচয় দিয়া থাকে, তাহাই আমাদের নিকট সুন্দর বলিয়া মনে হয়। এইজন্য সৌন্দৰ্য্যকে উদ্বেগু বা উপেয় বলিয়া স্বীকার করা যায় না, সৌন্দৰ্য্য উপায় মাত্র। আমাদের অধ্যাত্ম ব্যক্তির অনুভব কোন বিশ্লেষণ নয় ; তাহা রসের মূৰ্ত্ত স্পর্শ। সেই জন্য কবি আপনাকে ছবিতে ও গানে প্রকাশ করিয়া থাকেন । কবি বলিতেছেন— The principal object of art being the expression of personality and not of that which is abstract and analytical, it necessarily uses the language of picture and music. This has led to a confusion in our thought that the object of art is a production of beauty; whereas beauty in art has been the mere instrument and not its complete and ultimate significance. সছিদ্রকুন্তে জল ঢালিলে যেমন ঢালার শেষ হয় না পণ্ডিতবর্গের মধ্যে তেমনি সাহিত্য ক্ষেত্রে মতদ্বন্দ্বের শেষ নাই। কেহ বলেন কবির বক্তব্য বিষয়ই তাহার আটের পরিচয় ; কেহ বলেন বক্রোক্তিই কাব্যের জীবিত ; কেহ বলেন অলঙ্কারবাহুল্যই কাব্যের শিল্পত্বের পরিচায়ক । বস্তুত: এই জন্তই এ সমস্ত তর্ক ভিত্তিবিহীন যে, কোনও বহি:কল্পিত উদ্দেশু শিল্পের যথার্থ স্বরূপকে প্রকাশ করিতে