পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩৩৭

আর্ট ও রবীন্দ্রনাথ లివరీ পারে না। আত্মানুভব যখন আপন স্বাচ্ছন্দ্যে স্বপ্রকাশ হইয়া উঠে তখনই তাহা হয় শিল্প, সেই শিল্পের ভঙ্গির মধ্যেই বক্রোক্তি থাকিতে পারে, অতু প্রাস থাকিতে পারে, উপমা থাকিতে পারে, বস্তু ব্যঞ্জন থাকিতে পারে ; কিন্তু সেগুলি আত্মাকু ভবের স্বপ্রকাশের ভঙ্গি মাত্র ; আর্টের আত্মপ্রতিষ্ঠার উপায় বা অবয়ব মাত্র, তাহারা আর্টের নিয়ামক ধৰ্ম্ম নহে । লক্ষণ দিতে গেলেই লক্ষ্য বস্তুর বিশেষ বিশেষ প্রাণপ্রদ ধৰ্ম্মকে বিশ্লেষণ করিয়া পৃথক করিতে হয়। কিন্তু বিশ্লেষণ করিলে আটের স্বরূপ থাকে না। এইজন্য আটের কোন প্রাণপ্রদ ধৰ্ম্মকে পৃথক করিয়া আটের লক্ষণ দেওয়া চলে না। আটের মধ্যে এমন একটি ঐক্য আছে যে বিশ্লেষণ করিতে গেলেই সে ঐক্য ব্যাহত হয়। যখন কোন পানকরস আমরা পান করি তখন সেই তরল দ্রব্যের মধ্যে শর্কর, এলা, মরিচ প্রভৃতি নানাবিধ বস্তু জাত মিশ্রিতভাবে রহিতে দেখিয়া থাকি, কিন্তু পান করিবার সময় তুহাদের পৃথক আহাদগুলি একত্র নিমগ্ন হইয়া একটি অখণ্ড অপূৰ্ব্ব আস্বাদে প্রকাশ পায়। আমরা যখন দুগ্ধ পান করি তখন দুগ্ধের মধ্যে যে বহুবিধ দ্রব্য রাসায়নিক প্রক্রিয় জড়িত বহিতে দেথি তাহাদের প্রত্যেকের আস্বাদ গ্রহণ করা সম্ভব নয়, একটি অখণ্ড রসই আমরা আস্বাদ করিয়া থাকি, তেমনি আটকে বিশ্লেষণ করিলে যে যে উপাদান পাওয়া যায়, সেই সেই উপাদানের সমষ্টিতে বা পৃথক গ্রহণে আটকে পাওয়া যায় না । আট6 সমষ্টি নহে, আট একটি অখণ্ড ঐক্য ; আট একটি অখণ্ড ঐক্য বলিয়াই তাহার অন্তর্বর্তী বিভিন্ন উপাদানের সঞ্চয়নে অটের পরিচধ হয় না। বাহিবের জগতের সহিত তরু পুপ ও বিহঙ্গের সহিত যখন আমরা একান্ত বন্ধু ভাবে সন্নিহিত হই এবং আমাদের অস্তরের রসে বা হরের জগৎ অভিষিক্ত হইয় উঠে, তখন বাহিবের জগতের যে প্রাণপ্রদ ধৰ্ম্মটি আমাদের হৃদয়কে আলোড়িত করে সেই আলোড়ন যখন স্বচ্ছন্দ আত্মপ্রকাশে নিঝরি-ধারায় নামিয়া আসে তখন তাহা হয় আট। যে যথার্থ শিল্পী নয়, সে যদি একটি গাছ আঁকিতে যায়, তবে তাহার অনুলিপি মাত্র করিবে, কিন্তু কোন শিল্পী যদি সেই গাছ তাকে