পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२8 রবি-দীপিতা তবে তাহতে অনুকরণের বাহুল্য না থাকিতে পারে, কিন্তু আমাদের চেতনার অনুরণনে তাহ উদ্ভাসিত হইয়া উঠিবে। এই জন্যেই আটের মধ্যে তথ্যের বাহুল্য নাই অথচ ব্যঞ্জনার প্রাগ ভারে তাহ ভূয়িষ্ঠ । শিল্পীর অস্তরের সহিত বাহ জগতের অন্তরের যে সন্নিধান ও প্রসন্ন তা আনন্দে প্রচুর হইয় উঠে তাহারই আবেগ আটের মধ্য দিয়া প্রকাশ লাভ করে। কিন্তু তাই বলিয়া একথা বলা যায় না যে, আটের অভ্যস্তরে কোন তত্ত্ব নাই বা সত্য নাই। আটের মধ্যে যে সত্য আছে তাহা আমাদের জীবনের অনুভবের সত্য। সে অনুভব তথ্য নয়, অনুকৃতি নয়, তাহা আমাদের অস্তরের আলোকে নির্ভাসিত । কবি মধ্য যুগেব কোন মহিলা কবির একটি কবিতা ইংরেজীতে তর্জমা করিয়া ইহার দৃষ্টান্ত দিয়াছেন— I salute the life which is like a sprouting seed, With its one arm upraised in the air, and the other down in the soil ; The life which is one in its outer form and its inner sap ; The life that ever appears, yet ever eludes. The life that comes I salute and the life that goes ; I salute the life that is revealed and that is hidden I salute the life in suspense, standing still like a mountain, And the life of the surging sea of fire; The life that is tender like a lotus, and hard like a thunder-bolt. উপনিষদের ঋষি বলিয়াছেন, ‘কে হোবান্তাৎ কঃ প্রাণ্যাং যদেয আকাশ আনন্দো ন স্যাৎ যদি এই আকাশ আনন্দময় না হইত তবে আমরা বাচিতাম কি করিয়া ? শিল্পীর চক্ষুতে সমস্ত প্রকৃতি আনন্দময়। প্রকৃতিকে আপন আনন্দের মধ্যে গ্রহণ করিতে পারাই শিল্পীর সার্থকতা। আমাদের অন্তরের মধ্যে