পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 রবি-দীপিত বসেচে। তা’র থেকেই বুঝতে পারি আমাদের জরা নবতর যৌবনের বাহন। পুরাতন আপনাকে পুনঃ পুনঃ করে পেতে চায়, এই জন্য সে নিজেকে পুন: পুন: হারায়, হারিয়ে পাওয়ার মধ্য দিয়ে সে যদি না চলে তা হলে পুরাতন আর নূতন হয় না—আমাদের প্রাণকে নূতনভাবে উপলব্ধি করতে হবে বলেই আমরা মরি।” এমনি করে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জীবন আপনাকে নব নব ভাবে প্রতিষ্ঠিত করছে । এই ক্রিয়াত্মক পরিণাম ব্যাপারের মধ্যেই মানুষ বাস্তবিক হিসাবে অমর ; Czzoso stop os colo to Dialectic movement of life fool Non-beingএর মধ্য দিয়ে Beingএর নিত্যনবীনভাব বলে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তত্ত্ব-বিদ্যানিপুণ ব্যক্তিরা জানেন দার্শনিকেরা কত চিন্তা কত তর্ক করে পরিণামবাদের এই গৃঢ় স্বত্রটিকে ধরতে পেরেছেন, কিন্তু কবি তর্ক-চক্ষুতে দেখেন না। নীতিশাস্ত্রে লেখে যে গাব: পশুস্তি ভ্রাণেন বেদৈঃ পশুস্তি পণ্ডিতা: | চরৈ; পশুস্তি রাজান চক্ষুর্ভ্যাম ইতরে জনা: | ভ্ৰাণ দিয়ে দেখে পশু, বেদদৃষ্টি পণ্ডিতগণের, চরচক্ষু রাজাদের, চৰ্ম্মচক্ষু ইতর জনের। এই ছোট গীতিনাট্যটির ভিতর দিয়ে সমস্ত প্রকৃতির একটি গৃঢ়মৰ্ম্মকথা ব্যক্ত হয়ে উঠছে। বসন্তের মধ্যেই শীতের পরিণতি। শীতে বসন্তে সত্য পরিচয় হবামাত্র তারা পরস্পর দেখতে পায় তারা একাত্মা । বিরোধ ঘটল বলেই তাদের মিলন ঘটল। ব্রাউনিং-এর সঙ্গে আমাদের রবীন্দ্রনাথের এইখানেই একটু তফাৎ আছে । রবীন্দ্রনাথ বলচেন মৃত্যুকে নিয়েই অমৃত ; তাই উভয়ে একত্রে অনন্তের পরিণাম-লীলা সম্পন্ন করচে। তাই অমৃতের জন্য আমাদের লোকাস্তরের সন্ধানে বেরুতে হবে না। তাই ব্রাউনিংএর মত রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুর পরে অমৃতকে আশা করছেন না, তিনি মৃত্যুর মধ্যেই অমৃতকে প্রত্যক্ষ দেখবেন।