পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ রবি-দীপিত করবার জন্য গীতিনাট্যটির পাশে নাট্যটি বসান হয়েছে। এই ছলকুঁকু থেকেই বুঝতে পারি যে প্রকৃতির ভিতর থেকেই কবির কাছে বিশ্বের দ্বার উদঘাটিত হয়ে যায়, সে জন্যে কোনও পুথি ঘাটবার দরকার হয় না। কবি তরুলতার ভাষা জানেন, পশুপক্ষীর ভাষা জানেন ; তাই বেণুবন থেকে ফুলন্ত গাছ থেকে, পার্থীর নীড় থেকে অবিরত ষে অনাহত বীণাটি বেজে উঠছে, সেটা তিনি বেশ স্পষ্ট করে বুঝতে পারেন, এবং সেই অনুসারে নিজের মনের তারটিও বাধতে পারেন। শাস্ত্রে লেখা আছে এই পৃথিবীর স্বষ্টিস্থিতিলয় নিয়ে ব্রহ্মের লীলা চলছে। লীলা মানে খেলা। আমরা তা না বুঝে যতই যুক্তিতর্কের জাল বুনে এই খেলার রহস্তকে ধরতে চেষ্টা করি, ততই ধরতে পারি না ; শ্রান্ত হয়ে ফিরে আসি। কাবণ খেলার একমাত্র উপায় হচ্ছে খেলায় যোগ দেওয়া । যতই খেলার তত্ত্ব নিয়ে বুদ্ধির আন্দোলন করি খেলাটা ততই দুরূহ হয়ে ওঠে। প্রাণের গেলা মানেই হচ্চে অনিমিত্ত স্মৃত্তি ; যতই এক একটা কল্পিত নিমিত্তের মধ্যে তাকে বাধতে চেষ্টা করি ততই সেট ফাক দিয়ে বেরিয়ে যায়। নাট্যাংশের দাদাটি রাশীকৃত পুথি কাগজ পুরে নিয়ে তার প্রয়োজনের বাস্তবতা দিয়ে প্রকৃতি ও কাব্যকে বধিতে চেষ্টা করেছিলেন ; তিনি বংশীধ্বনিতে বেণুর কোনও সার্থকতা দেখতে পান না, তাকাশের অগণ্য নক্ষত্র জ্যোতির মধ্যে তিনি কোন আবশ্বকতা খুজে পান না, এই জন্যই খেলার Holy questএ তিনি যোগ দিতে পারেন নি । সমস্ত ফাল্গুনীটার হাওয়া থেকে, এই সুরটা বেরুচ্ছে, যে জগতের ভিতরকার কথাটি যদি কেউ জানতে চায় ত সে কেবলমাত্র গেলার সঙ্গে যোগ দিয়েই জানতে পারে, নান্ত পন্থা বিদ্যতে অয়নায়। কোনও তত্ত্বচিস্তার কুটজালে প্রবিষ্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই, কোনও দার্শনিক কল্পনার মাপকাঠি ব্যবহার করতে চেষ্টা করে না, শুধু জগতের মধ্যে নানা পরিবর্তনের ভিতর যে একটি আনন্দ লীলা চলেছে, বাউলের মতন সৰ্ব্বাঙ্গ দিয়ে সমস্ত হৃদয় দিয়ে তাকে স্পর্শ কর ; পুথির চোখটাকে, তর্কের চোখটাকে একেবারে কানা করে দাও ; সমস্ত প্রাণ