পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vog রবি-দীপিতা নির্ধ্যাতন লয়েছে সে বক্ষ পাতি ; মৃত্যুর গর্জন শুনেছে সে সঙ্গীতের মত।” পরবর্তী “কল্পনাতে” প্রকাশিত ১৩০৫এ লিখিত ‘অশেষ কবিতাটিতে মানবচিত্তের সঙ্গে ঘাত প্রতিঘাতে অশেষের দিক্ হইতে সম্মুখে চলিবার যে আহ্বান প্রকাশ পাইয়াছে তাহাতে কবি শক্তিকে আহবান করিয়া এই আশা প্রকাশ করিয়াছেন যে অশেষের আহবান তাহার মধ্যে সফল হইবে এবং তিনি জয়ী হইবেন । “হবে হবে হবে জয় হে দেবী করিনে ভয় হব আমি জয়ী তোমার আহবানবাণী, সফল করিব রাণী হে মহিমময়ী।” । কিন্তু এই অজানার আহবান কোথা হইতে আসিতেছে এবং কোন পথেই বা আমাদের গতি, সেই পথ সংসারের কি অতিসংসারের তাহা কবির জানা নাই। ১৩০১ সালে লিখিত ‘অন্তৰ্য্যামী’ কবিতায় কবি লিথিয়াছেন, “চিনি না যে পথ সে পথের পরে 酶 চলেছি পাগল বেশে ।” এই সময়কার একটা চিঠিতে কবি লিখিয়াছেন, “কে আমাকে গভীর গম্ভীরভাবে সমস্ত জিনিষ দেখতে বলেছে, কে আমাকে অভিনিবিষ্ট স্থির কর্ণে সমস্ত বিশ্বাতীত সঙ্গীত শুনতে প্রবৃত্ত করেছে, বাইরের সঙ্গে সুহ্ম প্রবলতম যোগসূত্রগুলিকে প্রতিদিন সজাগ সচেতন করে তুলছে ?” ‘কল্পনাতে ১৩০৫এ বর্ষশেষ’ কবিতাটিতে দেখা যায় যে কবির মনে দ্বন্দ্বের, দুঃখ ও বিপ্লবের আলোড়ন দেখা দিয়াছে । আর সেই দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়া কবি বিক্ষোভের তাড়নায় উদ্দাম পথিকের ন্তায় বাধাবন্ধহীন হইয়া ছুটিয়া চলিয়াছে এবং শক্তিসঞ্চয়ের জন্য যৌবনের জয়ভেরীকে আহবান করিতেছেন— “উড়েছে তোমার ধ্বজা মেঘর চু্যত তপনের জলদচ্চি রেখা ।