পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাক 'මද করযোড়ে চেয়ে আছি উৰ্দ্ধমুখে পড়িতে জানিনা 染 苯 嶺 চাবনা পশ্চাতে মোরা, মানিবনা বন্ধন ক্ৰন্দন, হেরিব না দিক্ । গণিব না দিনক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার, উদাম পথিক ।” এইখানেই বিশ্বমানবের সঙ্গে বিরোধের বা Antithesisএর চরম আবির্ভাব । পূর্বের মুখে বাহ প্রকৃতির সহিত মিলনের যে অখণ্ড শাস্তি ছিল সেটি ধ্বংস পাইয়াছে, এবং তাহার স্থানে কুরুক্ষেত্রের ভীষণ পৰ্ব্ব দেখা দিয়াছে। কিন্তু এই বাধাবিঘ্ন, ক্ষোভ দ্বন্দ্বের মধ্যে দাড়াইয়া কবি যেমন একদিকে ইহার উদ্ধামত ও ভীষণত অমুভব করিতেছেন অপরদিকে সেই ভীষণতার মধ্যে সেই প্রকৃতিব্যাপারের সামঞ্জস্যের প্রবল বিচ্ছেদের গহবরের মধ্যেও তাহার অস্তরালে যে একটি অসীমের শিবময় প্রকাশ লীলায়িত হইয়া উঠিয়াছে এই বিশ্বাস হারান নাই । জীবনের দুঃখ বিপদ বিরোধ মৃত্যুর বেশে অসীমের আবির্ভাবকে স্বীকার ৯রিয়াছেন । ১৩০৯ সালে লিখিত 'মরণ’ কবিতাটিতে তিনি লিথিয়াছেন— “তবে শঙ্খে তোমার তুলো নাদ করি প্রলয়শ্বাস ভরণ, আমি ছুটিয়া আসিব, ওগো নাথ, ওগো মবণ, হে মোর মরণ * ১৩১১তে লিথিত “পাগল” নামক প্রবন্ধটিতে তিনি লিখিয়াছেন, “এই স্বষ্টির মধ্যে একটি পাগল আছে, যাহা কিছু অভাবনীয, তাহা তিনিই আনিয়া উপস্থিত কবেন।--নিয়মের দেবতা সংসারের সমস্ত পথকে পরিপূর্ণ চক্ৰপথ করিয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছেন, আর এই পাগল তাহাকে আক্ষিপ্ত করিয়া কুগুলী আকার করিয়া তুলিতেছেন । এই পাগল আপন খেয়ালে সরীস্থপের বংশে পার্থী এবং বানরের বংশে মানুষ উদ্ভাবিত করিতেছেন। যাহা হইয়াছে