পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ల్సి রবি-দীপিত যাহা আছে তাহাকেই চিরস্থায়ীরূপে রক্ষা করিবার জন্য সংসারে একটি বিষম চেষ্টা রহিয়াছে। ইনি সেটাকে ছারখার করিয়া দিয়া যাহা নাই তাহারই জন্য পথ করিয়া দিতেছেন । ইহার হাতে বঁাশী নাই, সামঞ্জস্য ইহার সুর নহে, বিষাণ বাজিয়া উঠে, বিধি-বিহিত যজ্ঞ নষ্ট হইয়া যায়, এবং কোথা হইতে একটি অপূৰ্ব্বতা উড়িয়? আসিয়া জুড়িয়া বসে।” প্রকৃতির প্রকৃতিস্থতার মধ্যে যে একটা অপ্রকৃতিস্থতার ধাতু আছে তাহা অস্বীকার করা যায় না। সুন্দর মধুরের মধ্যে হঠাৎ একটা পাপ, একটি অপ্রত্যাশিত উৎপাত জলজ্জটাকলাপ হইয়া দেখা দেয়, যাহার অগ্নিশিখার স্ফুলিঙ্গে গৃহের প্রদীপ জলিয়া উঠে, সেই শিখাতেই নিশীথ রাত্রিতে গৃহদাহ উপস্থিত হয় । সংসারের একটানা জীবনের মধ্যে যে একটা তুচ্ছতা ও একঘেয়ে ভাব জাগিয়া উঠে, ভাল ও মন্দ এই দুইয়ের আঘাতে কোন অজ্ঞাত দেবতা তাহাকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করেন এবং এই আঘাত বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে প্রাণপ্রবাহকে অপ্রত্যাশিতের উত্তেজনায় ক্রমাগত তরঙ্গিত করিয়া স্বষ্টির নব নব মূৰ্ত্তি প্রকাশ করিতে থাকেন। এই সমস্ত ভাল ও মন্দের মধ্যে আমরা যদি অবিচলিত বিশ্বাসে স্থির থাকিতে পারি, ভয়ের আক্ষেপে যদি এই রুদ্রসঙ্গীতের তাল ভঙ্গ করিয়া না ফেলি, তবে ইহারই মধ্য দিয়া আমাদের মধ্যে স্বজনীশক্তি নব নব বিকাশে নব নব জীবনপ্রবাহে আপনাকে ফুটাইয়া তুলে, তাহার মধ্য দিয়া অনন্তের অভিমুখে আমাদের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ হইতে পূর্ণতর বিকাশকে উপলব্ধি করিতে পারি। বিশ্ব-বিক্ষোভের সম্মুখে দাড়াইয়৷ পূর্ণ বিশ্বাসে তাহার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিলে আমাদের অন্তর হইতে যে শক্তিপ্রবাহ উন্মেষিত হইয়া আমাদিগকে সেই বিঘ্নবিবাদের পরপারে লইয়া যায়, যে নূতনের দ্বারকে নব নব ভাবে উন্মোচিত করে, সেই অনন্ত গতির মধ্যেই আমাদের ব্যক্তিত্বের সার্থকতা । ১৩১২ সালে লিখিত ‘খেয়া'তে ‘আগমন” কবিতাতে যে রাজার আগমনের কথা দেখা যায় সে রাজা “অশাস্তি" । “বজ্র ডাকে শূন্ত তলে বিদ্যুতেরি বিলিক বলে