পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిy রবি-দীপিতা মৃত্যু মাঝে ঢাকা আছে যে অস্তহীন প্রাণ । সে ঝড় যেন সই আনন্দে চিত্তবীণার তারে সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত নাচাও যে ঝঙ্কারে । আরাম হ’তে ছিন্ন ক’রে সেই গভীরে লওগো মোরে অশাস্তির অস্তরে যেথা শাস্তি সুমহান ।” শারদোৎসব হইতে ফাল্গুনী পৰ্য্যস্ত সমস্ত নাটকগুলির মধ্যে ভিতরের ধুয়াট। একই রকমের । “প্রত্যেক ঘাসটি নিরলস চেষ্টার দ্বারা আপনাকে প্রকাশ করছে, এই প্রকাশ করতে গিয়েই আপনার অন্তর্নিহিত সত্যের ঋণ শোধ করছে। এই যে নিরন্তর বেদনায় তার আত্মবিসর্জন, এই দুঃখই তো তার ঐ এই তো তার উৎস।...যেখানে আপন সত্যের ঋণ শোধের শৈথিল্য সেখানেই প্রকাশের বাধা, সেইখানেই কদৰ্য্যতা, সেইখানেই নিরানন্দ । আত্মার প্রকাশ আনন্দময়। এই জন্যই যে দুঃথকে, মৃত্যুকে স্বীকার করতে পারে, ভয়ে কিম্বা আলস্তে কিম্বা সংশয়ে এই দুঃখের পথকে যে লোক এড়িয়ে চলে না জগতের সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় না।...তাই উপনিষদে আছে "তিনি তপের দ্বারা তপ্ত হয়ে এই সমস্তকে স্বষ্টি করলেন, আমাদের আত্মা যা স্বষ্টি করছে তাতে পদে পদে ব্যথা, কিন্তু তাকে যদি ব্যথাই বলি তবে শেষ কথা বলা হয় না। সেই ব্যথাতেই সৌন্দৰ্য্য, তাতেই আনন্দ ।” রবীন্দ্রনাথের ধৰ্ম্মের মধ্যে প্রধান কথাই বলা হইতেছে এই যে, একটি স্বজনীশক্তির গতির আবর্তে মানুষের ব্যক্তি-জীবন গড়িয়া উঠে ! প্রথম অবস্থায় মানুষ একটা অবিচ্ছিন্ন শাস্তিতে থাকে সেটা হইতেছে মূঢ়তার শাস্তি। তারপর