পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

행하 রবি-দীপিত সেখানে আমি থেমেছি, এমন ভাবের একটা ফটোগ্রাফ তুললে মাহুষকে অপদস্থ করা হয় । চলতি ঘোড়ার আকাশে পা-তোলা ছবি থকে প্রমাণ হয় না যে বরাবর তার পা আকাশেই তোলা ছিল এবং আকাশেই তোলা আছে।” রবীন্দ্রনাথের এই উদ্ধৃত পংক্তি কয়ট হইতে এই কথা বোঝা যায় যে র্তাহাব জীবনে কোন এক বয়সের কবিতা হইতে কিম্বা তাহার কবিতার কয়েকটি অবাস্তুর নমুনা হইতে র্তাহাব জীবনেব ধর্মের পরিচয় নিবার চেষ্টা কখনও সফল হইতে পারে না। তার জীবনের ধৰ্ম্ম বুঝিতে হইলে যে ধাবাটি অবিচ্ছিন্নভাবে তাহাব মধ্য দিয়া সমস্ত জীবন জুডিয়া স্তবে স্তরে ধাপে ধাপে প্রকাশ পাইয়াছে তারই অনুসন্ধান করিতে হয় । যে স্বজনীশক্তিকে তিনি নিজেব মধ্যে প্রত্যক্ষ করিয়াছেন সমস্ত বিশ্বময় তিনি ভাবই লীলা দেখিয়াছেন। যে দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়া, যে অভিঘাতের মধ্য দিয়া, আমাদের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়া উঠিতেছে সমস্ত বিশ্বময় প্রাণের যে লীলা চলিয়াছে তাহার মধ্যেও তিনি সেই লীলাই প্রত্যক্ষ করিয়াছেন । রবীন্দ্রনাথ তাহার বিলাকা কাব্যে, তাহার অন্তরাত্মাতে তিনি যে গতিধৰ্ম্ম অনুভব করেন সেই গতিধৰ্ম্ম নিজের মধ্যে ও বাহিরের জগতে ও নিজের সঙ্গে বাহিরের স্বন্দে কি ভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে তাহাই প্রাধানতঃ প্রকাশ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। বিলাকার প্রথম কবিতাটির নাম ‘সবুজের অভিযান', এই কবিতাতে তিনি প্রাণেব স্বজনীশক্তির যে ধৰ্ম্মটির দ্বারা পুবা তনকে ভাঙ্গিয়া নূতনকে আনা হয় তাহারই সাক্ষাংকার লাভ করিয়াছেন। এই স্বজনীশক্তি মখন আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করে তখন সম্মুখে নানা বাধা বিঘ্ন, আবরণ আসিয়া তাহার গতিরোধ করে। “তোরে হেথায় ক’রবে সবাই মান । হঠাৎ আলো দেখবে যখন ভাববে এ কি বিষম কাণ্ডখানা ! সঙ্ঘাতে ত্তোর উঠবে ওরা বেগে, শয়ন ছেড়ে আসবে ছুটে বেগে,