পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ রবি-দীপিতা “ঝড় এসে তোর ঘর ভ'রেছে, এবার যে তোর ভিত নড়েছে, শুনিস নি কি ডাক পড়েছে, নিরুদ্দেশের দেশে গো । এবার যে এল ঐ সৰ্ব্বনেশে গো ।” কিন্তু এই ভাঙনের সম্মুখে দাড়াইয়া কবি ভয় পান নাই, “কণ্ঠে কি তোর জয়ধ্বনি ফুটবে না ? চরণে তোর রুদ্রতালে নুপুর বেজে উঠবে না ? এই লীলা তোর কপালে যে লেখা ছিল,-সকল ত্যেজে রক্তবাসে অায়রে সেজে । আয়না বধূর বেশে গো।” কবি শুধু যে ভাঙন দেখিয়া ভয় পান নাই তাহা নহে এই ধ্বংসের আঘাতকে অতিক্রম করিয়াই যে তিনি জয়মাল্যের অধিকারী হইবেন এবং এই দ্বন্দ্বর মিলনের দ্বারাই যে তিনি পরম মিলনের সাক্ষাৎকার পাইবেন তাহা বুঝিয়া বধূর স্তায় ইহাকে বরণ করিয়া লইতেছেন। যাহারা নিৰ্ভীকভাবে এই জীবনের উদাম শক্তির সহিত আপনাকে এক করিয়া দিয়া দ্বিধাদ্বন্দ্বের সহিত সংগ্রাম করিতে ভীত হইয়া পশ্চাতে পড়িয়া থাকে তাহাদের সেই আলস্তে তাহাদের ব্যর্থতা— “রইল যারা পিছুর টানে কঁদিবে তার কাদবে।” সেই জন্য আহবান কবিতাটিতে “সৰ্ব্বনেশে” কবিতাটির ভাবই কবি ফুটাইয়া তুলিয়া বলিতেছেন,— “জাগবে ঈশান, বাজবে বিষাণ, পুড়বে সকল বন্ধ।