পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 রবি-দীপিত গহন রাত্রিকালে গভীর অন্ধকাবের মধ্য দিয়া মানুষ অজানা সাগরে পাডি দেয়, তার জীবনীশক্তির প্রবাহ তাহাকে কোথায় লইয়া যায় তাহার পথ সে জানে না, দুঃখদৈন্তের অগোঁববেব মধ্যে অনন্তেব পিযাসী চিত্ত তার দুৰ্দ্দাম অন্বেষণের মধ্যে তাহার জীবনের যথার্থ গৌববের সাক্ষাৎ পায়। রজনীগন্ধাব গন্ধেব ন্যায় অনন্তের একটি স্বগন্ধ তাহাব হৃদয়কে আবিষ্ট করিয়া রাখে, তাহার বিশ্বাস যে এই গন্ধের সঙ্কেতে সে যাহাকে পাইয়াছে একদিন তাহার সাক্ষাৎ পাইবে । সে সাক্ষাৎকাবেব কোন বাহিক লক্ষণ নাই, সেটি একটি অস্তরেব প্রস্ফুৰণ মাত্র। রাত্রির অন্ধকার কাটিয গিয়া প্রভাতের আলোর দর্শনেব ন্যায তাব অনুভব। তাই “পাডি” কবিতাটিতে কবি বলিয়াছেন, “বাজবে নাকে তুরী ভেৰী, জানবে নাকো কেহ, কেবল যাবে অ’াধাব কেটে, আলোয় ভরবে গেহ, দৈন্ত যে তার ধন্য হবে পুণ্য হবে দেহ পুলক পরশ পেয়ে নীরবে তাব চিৰদিনেব ঘুচিবে সন্দেহ কুলে আসবে নেয়ে ॥” কিন্তু প্রশ্ন উঠিতে পারে যে কবি র্তাহাব অন্তবের মধ্যে যে অন্তৰ্য্যামীর সাক্ষাৎ পাইয়াছিলেন যে শিবমদ্বৈতমুকে প্রকৃতির সঙ্গে যোগে তিনি তাহাব জীবনের প্রভাতে একটি শাস্তির আবেষ্টনের মধ্যে অন্তভব কবিয়াছিলেন, যে একটি পরিপূর্ণতার সন্ধান তাহাব সমস্ত কবিচিত্তেব অনুভূতিকে পরিব্যাপ্ত করিয়া রাখিয়াছিল, তাহার সহিত এই স্বজনীশক্তিব দ্বিধাদ্বন্দ্বেব যুদ্ধের সম্পর্ক কোথায় । সেই শিবমদ্বৈতম্ নিশ্চল, শান্ত, নিবন্ধন। অথচ বাহিরেব জগতে ও অন্তরেব মনোজগতে দৃষ্টপাত করিলে দেখা যায় যে, সেখানে অনবরতই গতিব ঘুর্ণাবেগ চলিয়াছে। এই গতিবেগ যদি সত্য হয়, তবে সেই শাস্ত নিরঞ্জন কি মিথ্যা ? সেকি শুধু পটে লিখা ছবির ন্যায় গভীব মৰ্ম্মতলে বেখাপাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ ?