পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা 8役 ধ্যানের মধ্যে যাহাকে উপলব্ধি করা যায় স্বন্দ্বেব মধ্যে আসিয়া কি সে নিঃশেষে তাহাব সত্তা হাবাইয়া ফেলে ? এই যে— “সহস্র ধারায় ছোটে বস্ত জীবন-নিঝবিণী মবণেব বাজায়ে কিঙ্কিনী” ইহাব মধ্যে “আনন্দরূপমমৃতং যং বিভাতি” তাহাব স্থান কোথায়? যখন সংসাবেব দ্বিধাদ্বন্দ্বেব মধ্যে নিবস্তব অসি ঝঞ্চনেব প্রবল আঘাত বিক্ষোভের মধ্যে আমবা তাহাব অনুভব বিস্মৃত হহ তখন কি তাহাব অস্তিত্ব শেষ হইয়া যায় ? যাহা চঞ্চল তাহা যদি সত্য হয়, তবে যাহা স্থিব অচঞ্চল তাহাব সত্যতা কোথায় ? এই স্থিবেব সহিত চঞ্চলেব কি সম্পর্ক ? তাহাব উত্তবে কবি বলেন যে নদীব তবঙ্গবেগেব মধ্যে, মেঘেব নিবন্তব পবিবৰ্ত্তনশীল বর্ণচ্ছটার মধ্যে তাহাব মূল শক্তিরূপে সেই শিবমদ্বৈত্তম বিবাজ কবিতেছে। বিস্মৃতিব মৰ্ম্মে বসিয়া বক্তসঞ্চাবেব দোলা দিতেছেন । “যচ্চক্ষুষা ন পশুতি, যেন চক্ষুংষি পশুন্তি প্রাণেন য: প্রাণিতি যেন প্রাণ; প্রণীতে” অর্থাৎ যাহাকে চক্ষু দ্বাবা দেখা যায় না অথচ যিনি চক্ষু দর্শনমঘ কবিয়াছেন, প্রাণ যাহাকে পায় না অথচ প্রাণেব সাড়া যাহা দ্বাবা জাগিয়া উঠিয়াছে তিনিই ব্রহ্ম। “নযন সম্মুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাই , আজি তাই শু্যামলে খ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল। অামাব নিখিল তোমাতে পেযেছে তাব অস্তুবের মিল । নাহি জানি, কেহ নাহি জানে তব স্বর বাজে মোর গানে ; কবির অন্তরে তুমি কবি, নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি।”