পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ヶ রবি-দীপিতা কিন্তু কবি বলেন যে Art দ্বারা আমরা এই যে অমরত্বের বা অক্ষয়ত্বের স্থৈৰ্য্য ও নিশ্চলতা ও চিরন্তনতা সম্পাদন করিতে পারি তাহা কেবলমাত্র বাহতঃ সত্য। মানুষ তাহার সমস্ত জীবনের যাহা কিছু আস্তর সঞ্চয় আহরণ করে, যাহা দ্বারা তাহার নিবিড় আস্তব ধাতু গড়িয়া তুলে, তাহার মধ্যে যে চিরন্তন ক্রিয়া চলিয়াছে, যে নিবিড় জীবনানন্দ সদা সচঞ্চল হইয়া প্রবাহিত হইতেছে, তাহার সাক্ষাৎ লাভ করিতে পারে না। স্মৃতিবিস্মৃতি লইয়া জীবনের ধাতু, যাহা বিস্তৃত তাহা স্মৃতের মধ্যে, যাহা স্মৃত তাহা বিস্মৃতের মধ্যে আপনাকে নিরস্তর ওতপ্রোতভাবে গাঢ় সংশ্লিষ্ট করিয়৷ গতির মধ্যে, প্রবাহের মধ্যে, গতি ও প্রবাহকে অতিক্রম করিয়া যে ঐক্যের স্বষ্টি করিয়া চলিতেছে তাহাকে প্রত্যক্ষ কবিতে পারে না। বাহিরের দ্বন্দ্ব ও বিক্ষোভের মধ্যে পড়িয়া যখন এই আস্তর প্রবাহের একটি কণা আমাদের কাছে ছুটিয়া বাহিব হইয়া আসে তখন তাহার সহিত আমাদের একটি স্মৃতি বলিয়া পরিচয় ঘটে । জীবনের অখণ্ড মাল্য হইতে একটি বীজ খসিয়া পড়ে, সেই বীজটিকে বৰ্দ্ধিত করিয়া একটি যুগান্তস্থায়ী প্রকাগু মহীরুহ রচনা করিতে পারি। সেই মহীরুহ কিন্তু কেবলমাত্র এই পরিচয়ই দেয় যে সে একটি পুষ্প হইতে ঝরিয়া পড়া বীজ হইতে উদ্ভূত। কিন্তু তাহা হইতে সেই অখণ্ড মাল্যটির কোন পরিচয় পাওয়া যায় না । জীবনপ্রবাহ হইতে ছিন্ন হইয়া যে অংশটি আর্টের মধ্যে বাহিকভাবে চিরন্তনরূপে দেখা দেয় তাহা জীবন হইতে বিশ্লিষ্ট, খণ্ড, সীমাবদ্ধ। তাহার মধ্যে জীবনের যথার্থ স্বরূপকে আমরা পাই না। রবীন্দ্রনাথের সমস্ত কাব্য চিরকাল ধরিয়া অমর হইয়া থাকিলেও তাঁহাতে রবীন্দ্রনাথের অখণ্ড অস্তন্ত্রীবনের দর্শন লাভ করা যায় না। “তোমার কীৰ্ত্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ, তাই তব জীবনের রথ পশ্চাতে ফেলিয়া যায় কীৰ্ত্তিরে তোমার বারম্বার ” আর্ট জীবনের একটি বিশ্লিষ্ট অংশ মাত্র। একটি গাছের পাতাকে পাইলে