পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা &S সেই ভক্তি যদি তাহার চিত্তবৃত্তিব স্বাভাবিক বিকাশের পথ হইতে অন্তত্র টানিয়া লইয়া যায় তৰে সেই ভক্তি আনে মূঢ়তা। তাহার পথে জীবনে যে দ্বন্দ্ব আসে সে দ্বন্ধকে সে অতিক্রম করিতে পারে না । একটা ঢেউয়ের যেমন স্বাভাবিক পরিণতি এই যে, সে আর একটি ঢেউয়ের সহিত মিলিত হইয়া সমূদ্বয়ের গতিবেগের মধ্যে আপনাকে বিলীন করিয়া দিয়া আপনার সার্থকতা লাভ করে, অথচ সেই গতিবেগের সহিত বিচ্যুত হইলে তাহার আপন স্বাভাবিক সত্তা হারাইয়া ফেলে, তেমনি মানুষেব প্রেমও প্রেমাস্পদকে অবলম্বন করিয়া অবতীর্ণ হইয়া তাহাকে ছাড়াইয়া যায় এবং সমৃদয় মানুষটির ক্রমপ্রসারী আত্মপ্রকাশের মধ্যে আপনার যথার্থ পরিচয় পায়, অথচ শুধু প্রেমাস্পদের মধ্যেই মূৰ্ছিত হইয়া পড়িলে, সেইখানেই আপন সার্থকতাকে সঙ্কীর্ণ করিয়া ফেলে । “যে প্রেম সম্মুখ পানে চলিতে চালাতে নাহি জানে, ষে প্রেম পথের মধ্যে পেতেছিল নিজ সিংহাসন, তার বিলাসের সম্ভাষণ পথের ধুলার মতো জড়ায়ে ধরেছে তব পায়ে দিয়েছে তা ধূলিরে ফিরায়ে।” বলাকার প্রধান বক্তব্য এই যে আমাদের অস্তর্নিহিত স্বজনীশক্তির বেগে আমরা সমস্ত বাধাবিপদ উত্তীর্ণ হই, এই স্বজনীশক্তির আপন স্বাভাবিক গতি কোন অজানার দিকে ছুটিয়াছে তাহা আমবা জানি না। অথচ এই বাধা বিপত্তির সহিত সংগ্রামে এই স্বজনীশক্তির গতিচ্ছন নিয়মিত হয় ইহাই আমাদের জীবনের ব্যাপক ধৰ্ম্ম, ব্যাপক স্বভাব এবং আমাদের পরম আত্মীয় প্রকৃতি। প্রথম প্রশ্ন উঠিয়াছিল এই যে তাহা হইলে আমাদের কুটস্থ অন্তৰ্য্যামী পুরুষের সহিত আমাদের এই গতির, প্রাকৃতিক জীবনের সম্বন্ধ কোথায়, ‘ছবি’ কবিতাটিতে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হইয়াছে। দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠিয়াছিল এই যে প্রেম যখন আমাদিগকে জীবনের গতিবেগ হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া আনে এবং আর্টের দ্বারা