পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা (9 এই কবিতাটি বসান উচিত ছিল। এই কবিতাটিতে আর্টে মানুষের বেদনাকে কি উপায়ে সৰ্ব্ব মানবের অনুভূতির মধ্যে চিরন্তন সাক্ষাংস্কপে প্রকাশ করিতে পারে তাহাই বলা হইয়াছে। মানুষের জীবনপ্রবাহ হইতে একটি খণ্ড অনুভূতিকে বাহির করিয়া আনিয়া ঐন্দ্রিয়ক উপায় দ্বারা ( Sensuous form ) তাহাকে বাহজগতে মূৰ্ত্ত করিয়া সৰ্ব্বকালের সৰ্ব্বমানবের তাদৃশ অনুভূতির মধ্যে চিরপ্রতিষ্ঠিত করা, ইহাই আর্টের কাজ । মানুষের অস্তরের যে মনটি তাহার একান্ত আপনার, তাহার একান্ত নিজস্ব, সেখানে অপর কেহ প্রবেশ করিতে পারে না । সেখানে মানুষ আপন সার্থকতা আপনিই উপলব্ধি করে । জীবনযাত্রার পথে বহির্জগতের সহিত মানুষের যে নানা সম্পর্ক ঘটে নানা উপকরণের পুঞ্জীভূত ভারের সহিত মানুষ যে আপনাকে ভারগ্রস্ত করে তাহা তাহার একাস্ত অনাত্মীয় । মানুষের স্বজনীশক্তির সহিত তাহার আত্মস্বভাবের সহিত তাহার কোন যোগ নাই। তাই তাহাদের মধ্যে মানুষের কোন পরিচয় পাওয়া যায় না । বস্তুনিচয়ের পরম্পর সঙ্ঘাতে বস্তুর আসিয়া এক জায়গায় জমিয়া উঠে আবার বিশীর্ণ হইয়া ছড়াইয় পড়ে । মানুষ অস্তরে যে সত্যকে অনুভব করে আটের দ্বারা তাহা সৰ্ব্বসাধারণের করিয়া প্রকাশ করে। প্রত্যেক মামুষের মধ্যে একদিকে যেমন তার ব্যক্তিগত স্বতন্ত্রতা আছে অপরদিকে তাহার মধ্যে একটি বিশ্বপুরুষ আছে। সমস্ত মানুষের মধ্যেই একই স্বজনীশক্তির লীলা আত্মপ্রকাশ লাভ করিতেছে তাই একটি পুরুষের অস্তজীবনের লীলার মধ্যে যে বেদনাটি পরম সত্য বলিয়া অনুভূত হয় তাহা বিশ্বমানবের অনুভূতির মধ্যে চিরন্তনভাবে সত্য হইয়া রহিয়াছে। তাই কোন মানুষ যখন তাহার অন্তৰ্য্যামী পরম সত্যের আহবানে আপনার স্বজনীশক্তি দ্বারা কোনও একটি অনুভবকে পরম সত্য বলিয়া অনুভব করে এবং ঐকাস্তিক উপায় দ্বারা সৰ্ব্বসাধারণের নিকট মূৰ্ত্ত করিয়া তাহাকে প্রকাশ করিতে পারে তখন সৰ্ব্বকালের সর্বমানব সেই ব্যক্তির সেই বিশেষ অনুভবটিকে তাহাদেরই মধ্যের একটি অনুভব বলিয়া আবিষ্কার করে ও গ্রহণ করে। এইজন্য আটের পথে একদিকে যেমন আমাদের জীবনপ্রবাহ হইতে একটি অনুভূতিকে