পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা ●y করে, যখন আমরা প্রেমের আনন্দে প্রকৃতির মৰ্ম্মস্থানকে স্পর্শ করিতে পারি। প্রকৃতিকে ভাল না বাসিলে প্রকৃতি তাহার বাণী আমাদিগকে শুনাইজে পারে না । “হে ভূবন আমি যতক্ষণ তোমারে না বেসেছিনু ভালো ততক্ষণ তব আলো খুজে খুজে পায় নাই তা’র সব ধন। ততক্ষণ নিখিল গগন হাতে নিয়ে দীপ তার শূন্যে শূন্যে ছিল পথ চেয়ে ।” প্রকৃতিকে নিজের চেতনার মধ্যে ভাসাইয়া তুলিতে পারিলে তাহার জীবনের সহিত নিজের একান্ত অবিচ্ছিন্ন সম্বন্ধকে বুঝিতে পারা যায়। “প্রভাত সন্ধ্যায় আলো-অন্ধকার মোর চেতনার্য গেচে ভেসে ; অবশেষে এক হয়ে গেচে আজ আমার জীবন আব আমার ভূবন।” সাধারণতঃ মনে হয় যে, মৃত্যুর সঙ্গেই আমাদের সহিত আমাদের বহির্জগতের একান্ত বিচ্ছেদ ঘটে । “তবুও মরিতে হবে এও সত্য জানি। মোর বাণী একদিন এ বাতাসে ফুটিবে না মোর আঁখি এ আলোকে লুটিবে না, মোর হিয়া ছুটিবে না অরুণের উদ্দীপ্ত আহবানে ;”