পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাক \უ6: রবীন্দ্রনাথের প্রধান আনন্দ এই কথাতেই যে, তিনি অজানার যাত্রী । জানার জালে আমরা আমাদিগকে বধি, অজানা এসে সে বন্ধন মুক্ত ক’রে দেয় । অজানা সামনে এসে ভয় দেখায, কিন্তু সেই ভয়ের মধ্য দিয়াই ভয়কে ভাঙা যায় । অজানা সামনে আছে, সেই জন্য তাহাকে ভয় কবিবার কোন কারণ নাই। আমাদেব এই কুলের দড়ি ছিড়িষা গিয মহাসমুদ্রে ভাসান দিলে তাহ যে আবার ফিরিয়া আসিয়া আমাদেব এই সংসাবেব তীরেতেই আশ্রয় লইবে, যাহাকে অতিক্রম কবিয়াছি সেই যে আবাব আমাদিগকে ঘিরিয়া ধরিবে এমন কথা মনে কবিবাব কোন কাবণ নাই । কিন্তু এই দেহ লয়ের সঙ্গে সঙ্গে যে মৃত্যুকে আমবা কাল্পনিক চক্ষুতে দেখি, সেইটাই আমাদেব ঘোর অবিদ্যা। এই জীবনেব মৃত্যুব দ্বাব অতিক্রম কবিলে আমাদেব সেই নবজীবনেব রূপ যে কি হইবে তাহা আমবা জানি না ; কিন্তু সমস্ত প্রকৃতিকে দেখিয়া আমবা এই আtশ্বাস পাইয়াছি যে, সে জীবন একটা নবতম কল্যাণতব অভিব্যক্তি । এষ্ট জীবনেব সহিত সেই জীবনের মিল কোথায় তাহা আমবা জানি না । এই জীবনে প্রকৃতিব সহিত অামাব যা সম্বন্ধ সেই সম্বন্ধ ছিন্ন হইবাব পব আবাব যে কিরূপ সম্বন্ধ হইবে, তাহাও আমব জান না ; কিন্তু তথাপি এইটুকু জানি যে, জানাব সঙ্গে আমাদেব যেটুকু মিল আছে তাব চেয়ে বড মিল আছে অজানাব সঙ্গে । জনাব সহিত আমাদেব যে মিল আছে তাহ সীমাবদ্ধ, অজানাব সহিত যে মিল তাহা অসীম। অজানা আমাদেব হালের মাঝি, তার সঙ্গে আমাদেব চিরকালেব এই চুক্তি যে, সে মুক্তি আনিয়া দিবে। “মানে না সে বুদ্ধিমুদ্ধি বৃদ্ধ জনাব যুক্তি, মুক্তারে সে মুক্ত কবে ভঙে তাহাব শুক্তি” এই বিশ্বাসে কবি বলিতেছেন, “ঘণ্টা যে ঐ বাজলে কবি, হোক্ রে সভাভঙ্গ । জোয়ার-জলে উঠেচে তরঙ্গ ।