পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

®ჭr রবি-জীপিতা বিশ্বের ভাণ্ডারী শুধিবে না এত বাণ ? রাত্রির তপস্যা কি আনিবে না দিন ? নিদারুণ দুঃখরাতে মৃত্যুঘাতে মানুষ চুর্ণিল যবে নিজ মৰ্ত্ত্যসীমা তখন দিবে না দেখা দেবতার অমর মহিমা ?” এই কবিতাটি বোধ হয় ইয়ুরোপের বিগত মহাসমরের সময়ে লিখিত । কিন্তু রাজ্যে রাজ্যে হিংসার হলাহল সৃষ্টি করিয়া বীরের আত্মবিসর্জনে যে জাতিগত প্রায়শ্চিত্ত বিধান করে তাহাব মধ্যে যে প্রলয়ভেরী বাজিয়া উঠে, যে মৃত্যুগহ্বরের মধ্য দিয়া চিরনূতনের আহবান ধ্বনিয়া উঠে সেখানেও সে একই কথা, একই বিশ্বাস। এই মৃত্যুর আলিঙ্গনের মধ্য দিয়া, এই মাতার অশ্রজলের অভিসেচনে, পরমবান্ধবজনের ক্ৰন্দনের আকুল আৰ্ত্তনাদে যাহার বরণ হইতেছে তাহা ‘ভীষণং ভীষণানাং হইলেও তাঙ্গর মধ্যে 'মহদ্ভয়ং বজ্ৰমুদ্যতম্কে দেখিলেও তাহার মধ্য দিয়াই আমরা কোনরূপে "আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি” তাহারই সাক্ষাৎ পাইব । আর একটি কবিতায় কবি বলিতেছেন যে, কোন অজ্ঞাত সারথির রথ চালনায় আমরা চলাচলের পথে চালিয়ছি। শিশু হইয়া মায়ের কোলে জন্ম হইল, হাসিতে রোদনে যৌবন কাটিল, কিন্তু আবার যখন এই জীবনের বীণাবাদ্য শেষ হইবে, এই জীবনের বীণাপানি যখন এখানেই রাগিব, তখন আবার কোন বীণার নূতন রাগিণী ঝঙ্কার দিয়া উঠিবে ? চলাই আমাদের স্বভাব, তাই কোথাও আমাদের মূল নাই, ঘূর্ণিপাকের হাওয়ার মত আমাদের মন ঘুরিতেছে এবং আমাদের সমস্ত দেহ-যাত্রার মধ্য দিয়া কোন এক নিরাকার তাহাকে নানা আকারে ফুটাইয়া তুলিতেছে ; “চলতে যাদের হবে চিরকালই নাইক তাদের ভার।