পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা ግ› চিরদিন সে সাথে সাথে আছে আমার ভুবন ঘিরে। শরতে সে শিউলি বনের তলে ফুলের গন্ধে ঘোমটা টেনে চলে, ফাঙ্কনে তা’র বরণমালা-থানি পরাল মোর শিবে !” এই শ্লোকটি পড়িলে স্পষ্ট দেখা যায় যে মৃত্যুর পর যে আলোর তীরে যাইবার কথা হইয়াছে এবং যে আলোর দেশের সাদর সম্ভাষণেব জন্য কবি ব্যাকুল হইয়া রহিয়াছেন এই প্রকৃতির মধ্যেই চারিদিকে তিনি বিরাজ করিতেছেন। শীতের মধ্য দিয়া প্রকৃতি যেমন তার বেশ পবিবর্তন করে, কিন্তু সেজন্য তাহাকে কোনও লোকাস্তবে যাইতে হয় না তেমনি আমরাও মৃত্যুর মধ্য দিয়া আমাদের বেশ পরিবর্তন করি, সেজন্য লোকান্তরের কোনও অপেক্ষা নাই। বৃক্ষের সহিত যখন একটি পাতা সংবদ্ধ থাকে, তখন বৃক্ষের যে জীবনী-শক্তি পাতার মধ্য দিয়া আত্মপ্রকাশ করে তাহার যদি কোন চেতনা থাকে, তাহা হইলে পাতাটী যখন ঝরিয়া পড়ে, তখন সে মনে করিতে পারে যে আমি কোন অজানার দিকে ভাসিয়া চলিয়া গেলাম তাহার কোন ঠিক ঠিকানা নাই। কিন্তু তাহার যদি কোনও অতি-চেতনা থাকে, তাহা হইলে সে অনুভব করিবে যে, অজানার উদ্দেশ্যে চলিতে গিয়া এই পত্রদেহ যন্ত্রটি যখন চূর্ণ হইবে, তখনও কোন ভয়ের কারণ নাই। পত্রটি যখন জীবিত ছিল তখন যে জীবনীশক্তি পত্রের জীবনকে প্রাণধান করিয়াছিল, পত্রটি ঝরিয়া পড়িবার পরও সেই জীবনীশক্তির মধ্যে তাহার প্রতিষ্ঠা। ভবিষ্যতে সেই জীবনীশক্তি পত্রাকারে ফুটিবে, কি পুষ্পাকারে ফুটিবে, কি কাণ্ডাকারে ফুটিবে তাহার কোন নির্ণয় না থাকিলেও, পত্রটি বাচিয়া থাকিবার সময়ে বৃক্ষটির কাছে সে যে দরদ পাইয়াছে, পত্রবিগমের পরেও বৃক্ষের জীবনীশক্তির মধ্যেও সে প্রেমের সেই স্বাগত সম্ভাষণই পাইবে। যে প্রাণময়