পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলাকা ዓ® যে স্নেহেব পবশ বুলাইয়াছেন, আমাদেব অজানাব জগতেও সেই প্রেমালিঙ্গন লইয়া আমাদেব অপেক্ষা কবিতেছেন। পূৰ্ব্বে যে কবিতাটা উদ্ধত কবিয়াছি তাহাতে দেখা যায় যে, বাহিরেব জগতে বর্ণে গন্ধে যে স্বজনীশক্তিকে আমবা প্রত্যক্ষ কবি, অস্তুজগতের মধ্যেও তাবই লীলা আমবা অনুভব কবি । এই স্বজনীশক্তিব মধ্যে যে একটা অনাগত আছে, তাহাই তাহাব বর্তমানকে আকৃষ্ট কবিয়া বিকশিত কবিয়া তুলিতেছে। এই শক্তির কোনও রূপ নাই, সে নিবাকাব বস্তুহীন। অথচ তাহাব লীলায় নিবস্তব বস্তুফেন ফুটিযা উঠতেছে। নিবাকাবেব চবণভঙ্গীতে আকাব আত্মপ্রকাশ লাভ কবিতেছে । সেই বস্তুকে ও আকবকে যখনই আমব সেই বস্তুহীন ও নিবাকাব হইতে পৃথক কবিয়া দেখি তখনই আসে অামাদেব ভ্রম, আসে মোত, আসে ভয়। আমাদেব অস্তবে যে জীবলীলা প্রকাশিত হইতেছে তাহাকে যদি আমবা বস্তুরূপে দেখি, তাহা হইলেই আসে জন্মান্তবেব কথা, দেহান্তে তাহাব স্থান কোথায়, এই প্রশ্ন। কিন্তু আমাদেব অন্তবেব জী লীলাকে যদি বিবাট শক্তিলীলাব একটা কৈন্দ্রিক প্রস্ফুৰণ বলিয়া মনে কবি, তাহা হইলে সকল বহস্য সহজ হইয়া যায়। জীবনলীলাব প্রস্ফত্তিব মধ্যে সবচেয়ে বড় সত্য তাব গতি, তাব বিকাশ। গতি ও বিকাশ সম্পন্ন হইতে গেলেই চাই বাবা, চাই বাদাভঙ্গ ও প্রাপ্তি, তাই কবি বলিতেছেন— "জোযাব-ভাটাব নিত্য চলাচলে তাব এই আনাগোনা। আধেক হার্সি অ্যাধেক চোৰ্থেব জলে মোর্বে চেনাশোন । তাবে নিযে হলোনা ঘব-বাধা, পথে-পথেই নিত্য তাবে সাধা, এমনি কবেই আসা-যাওয়ার ডোরে প্রেমেবি জাল-বোন ।”