পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግ8 রবি-দীপিত জীবনের মধ্যে চলন বৃত্তিটাই সৰ্ব্বপ্রধান। সেইজন্য কবি বারংবার এই জীবনের চলনধৰ্ম্মকে যৌবন বলিয়া আহবান করিয়াছেন। সেই যৌবনের ধৰ্ম্মই যে সে আয়ু চাহে না, সে চাহে মৃত্যুর মধ্য দিয়া অমৃত রস। মরণ তার প্রেয়সী, তার ঘোমটাটুকুতেই যা কিছু ভীষণত । ঘোমটা খুলিলেই দেখা যায় তার মুখের সুন্দর জ্যোতি । আর একটি কবিতাতে রবীন্দ্রনাথ বলিতেছেন যে, অমৃতরস বলিতে মুখ বুঝি না, অমৃত বলিতে বুঝি মৃত্যু হইতে জীবন, জীবন হইতে মৃত্যু, স্বন্দ্বের সহিত সঙ্ঘর্ষ ও সভঘর্ষ হইতে পুনরুখান এই লীলা আমরা অহরহ আকৃতিক জগতে দেখিতেছি, সমাজে রাষ্ট্রে সৰ্ব্বত্র দেখিতেছি, ইহাই বিশ্বের লিখন—ইহাই বিশ্বের অমৃতত্ব ; কারণ, এইখানেই বিশ্বের প্রতিষ্ঠা । বিশ্বের এই গতিবেগ যদি থামিয়া যাইত, তবেই আসিত জড়তা—তবেই আসিত মৃত্যু। “ক্ষতি এনে দিবে পদে অমূল্য অদৃশু উপহার। চেয়েছিলি অযুতের অধিকার,— সে ত নহে সুখ, ওরে, সে নহে বিশ্রাম, নহে শান্তি, নহে সে আরাম । মৃত্যু তোরে দিবে হানা, দ্বারে দ্বারে পাবি মানা, এই তোর নব বৎসরের আশীৰ্ব্বাদ,” আবার বলিতেছেন—

  • পথে পথে কণ্টকের অভ্যর্থনা, পথে পথে গুপ্তসৰ্প গৃঢ়ফণা। নিন্দা দিবে জয়শঙ্খনাদ এই তোর রুদ্রের প্রসাদ ।” আর একটি কবিতাতেও তিনি বলিয়াছেন যে, প্রকৃতির সঙ্গে যখন একটা