পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা Գզ: পূর্ণ সামঞ্জস্তের শাস্তিতে আমরা "স করি তখন আমাদের সর্বদাই মনে সঙ্কোচ থাকে। ভয় থাকে, কি অনাচারে সে শান্তি নষ্ট হইবে । কিন্তু যখন মাতৃগর্ভের কোমল আবেষ্টনের মধ্যে পরমাদরে পরম শাস্তিতে দ্বন্দ্ব সজেক্ষাভের বাহিরে আপন অখণ্ডমুখে বাস করি, তখন সেই সুপের মধ্য দিয়া সে তাহার মাতার প্রকৃত পরিচয় পায় না। প্রকৃতির সহিত প্রভাতজীবনে আমাদের যে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ থাকে তাতে পাই আলো, তাতে আছে সুখ সম্ভোগ, প্রীতি, তাহাতে দেখি যে চারিদিকের জগৎ যেন তার কল্যাণ হস্ত বুলাইয়া আমাকে ঘুম পাড়াইয়া রাখিয়াছে ! প্রকৃতির সহিত এই যে আমাদের ঐক্য, এ ঐক্য মূঢ়তার ঐক্য। মাতৃগর্ভে থাকিয়া মাতার জীবনের সহিত শিশুর যে অবিচ্ছিন্ন ঐক্য থাকে, এ সেই ঐক্য। কিন্তু শিশুব মাধের পরিচয় পাইবাব দিন তখনই আসে, যখন সে মাতৃগর্ভ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া ভূমিষ্ঠ হব । এই বিচ্ছেদের আরম্ভ হইতেই যথার্থ পরিচয়েব আরম্ভ । “গর্ভ ছেড়ে মাটিব পরে যখন পড়ে তথন ছেলে দেখে আপন মাকে । তোমার আদব যখন ঢাকে, জড়িয়ে থাকি তাবি নাড়িব পাকে, তখন তোমাঘ নাহি জানি । আঘাত হানি তোমাবি আচ্ছাদন হ’তে যেদিন দূবে ফেলাও টানি’ সে বিচ্ছেদে চেতনা দেয় আনি’, দেখি বদনখানি।” ঐ কবিতাতেই আবার বলিয়াছেন, “মুক্তি, এবার মুক্তি আজি উঠ ল বাজি