পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/ه এই চিত্তধাতুর সংস্পর্শে আসিয়া সমস্ত জীবনেব সৰ্ব্ববিধ অনুভব অস্তরের মধ্যে যে রূপ পায়, সেই রূপের প্রতিফলনে বিভিন্ন বস্তু আবার বিভিন্ন বিভিন্নরূপে নানামুখী আনন্দধারার সম্পাতে চিত্তকে অভিষিক্ত করিয়া তোলে। কবি তাহার সমগ্র চিত্ত লইয়া যখন কোন বিষয়-বস্তুর সম্মুখীন হন, তখন তাহার চিত্তধাতুর সম্পর্কে সেই বিষয়বস্তু যে নবতর রূপ ধারণ করে কবি তাহা আলোচন করেন । আপনাকে বাহিরে, ও বাহিরকে আপনার মধ্যে, এই যে আলোচন, ইহাই শিল্পীর আলোচন, কবির আলোচন। সেইজন্য কবির চিত্তধাতু যেমন নানা বিযয়বস্তুর সম্পর্ক আসিয়া তরুণ বনম্পতির ন্যায় নানা দিক হইতে রস আকর্ষণ করিয়া, পত্রে পুপে আপনাকে মঞ্জরিত করিতে থাকে, তেমনি কবিচিত্তের স্বপ্ত, অৰ্দ্ধমুপ্ত ও স্বপ্রকট ভাবধারার নব নব সন্নিবেশবৈচিত্র্যের অনুরূপ গতিতে, কাব্যস্থষ্টির নব নব বিকাশ উৎপন্ন হইতে থাকে। কাব্যপথের পথিক আপণ কাব্যযাত্রার মধ্যে তাহার জীবনের গতির পদচিহ্ন রাখিয়া যান। সোমলতার যেমন প্রতি তিথিতে একটি একটি নূতন পত্রোদগম হয়, কবির ও তেমনি জীবনের পরিস্ফুরণের সঙ্গে সঙ্গে নূতন নূতন মসীচিহ্নিত পত্রোদগম হইয়া থাকে। এই হিসাবে কবির কাব্য তাহার চলন্ত জীবনের এক একটি স্বতন্ত্র ছবি মাত্র। রবীন্দ্রনাথের জীবন যেমন দীর্ঘ তেমন নিত্য-নব-চঞ্চলতার, নানা ভঙ্গীতে লীলায়িত । এই সমগ্র জীবনকে কবি নিজেও হয়ত একদৃষ্টিতে আলোচন করিতে পারেন না । সেদিন যাহা প্রত্যক্ষ ছিল, ফুট ছিল, উপভোগ্য ছিল, আজ নানা অনুভূতির অতিথি-সমাগমে তাহার পদচিহ্ন স্নান । কাল যাহা দিনের অালোকের ন্যায়ু উগ্র ছিল, আজ তাহ জ্যোৎস্নাপাতের ন্যায় নবনীতকোমল । জীবনকে কোথাও বঁধিয়া রাখা যায় না, তাই কবির সমগ্র কাব্যকে কবি তাহার চিত্তের মধ্যে সমালোচন করিয়া রাখিতে পারেন না । was figh Afriqi &isjoo so cofoil off (knowledge by acquaintance), আর অনেক বিষয় আমরা লক্ষণের দ্বারা জানি (knowledge by description)। কিন্তু যাহা জানি তাহা ছাড়াও আরও নানাবিধ সংস্কার ও বিশিষ্ট ভাবপদ্ধতি চিত্তপটকে বিচিত্র ভাবে সংগঠিত করিয়া রাখে—জানা’