পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিতা و ۹ অনাদরের কঠিন ঘায়ে অপমানের ঢাকে ঢেলে সকল নগর সকল গায়ে । ওরে ছুটি, এবার ছুটি এই যে আমার হ’ল ছুটি, ভাঙল আমার মনের খুটি, থসল বেড়ি হাতে পায়ে ; এই যে এবার দেবার নেবাব পথ খোলস ডাইনে বঁীয়ে ।” কবির এ তাৎপৰ্য্য নয় যে বাধা বিঘ্ন, বিপত্তি অপমান, দ্বিধা দ্বন্দ্ব যখন চারিদিক হইতে আদিবে, তপন তাহার সহিত বীরের মত যুদ্ধ করিয়া জয়ী হইব, এই তো আমাদের বীরের সদগতি। কিন্তু কবি বলিতে চান যে, বাধা দ্বন্দ্ব আছে বলিয়াই আমাদের নিজের সহিত, বিশ্বের সহিত ও আমাদের সেই অন্তৰ্য্যামী পুরুষের সহিত যথার্থ পরিচয় ঘটতে পারে। নিছক শান্তির মধ্যে মুখের আবরণের মধ্যে আমাদের যে আত্মপ্রাপ্তি, সেটা যেন ফলের মধ্যে বীজের আত্মপ্রাপ্তির মতন। সে প্রাপ্তি মূঢ়তার প্রাপ্তি! বীজটি যখন বৃক্ষ হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়া, ফলের খোলস হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়া অনাদরে মাটির মধ্যে সমাধি লাভ করে, তখন চারিদিকের বাধারাশির মধ্যে পড়িয়া তাহার স্বজনীশক্তি আত্মপ্রকাশের জন্য চঞ্চল হইয়া উঠে । বাহিরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে তাহার অস্তরস্থ তপস্যা তাপময় হয়। সে অক্ষুরাকারে মাথা তুলিয়া সমস্ত চাপ ভেদ করিয়া, সমস্ত অবহেলা তুচ্ছতাকে দুই হাতে সরাইয়া দিয়া মাটির মধ্য হইতে বাহির হইয়া আসিয়া প্রভাতের রবি-কিরণে স্নাত হইয়া বলে, “এই দেখ আমি আছি।” ইহার পূৰ্ব্বে যে তাহার থাকা তাহা না থাকারই মতন, তাই উপনিষদ বলিয়াছেন,— 'অসবেদমন্ত্রে আসীং শুধু ‘আছিতেই শেষ নয়। আবার বাহিরের জগতের সহিত তার প্রাত্যহিক দ্বন্দ্ব আর সেই দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়া তার আত্মপ্রকাশ, তার বিশ্বজয়ী অমলতা, তার পরিস্ফুর্ত, তার বিকাশ ; সে বলে আমি যে শুধু আছি