পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাক{ *פר পূর্ণিমারে দিলে হাসি ; সুখস্বপ্ন-রসরাশি ঢালে তাই, ধরণীর করপুট স্বধায় উচ্ছ্বাসি’। দুঃখখানি দিলে মোর তপ্ত ভালে থুয়ে, অশ্রুজলে তারে ধুয়ে ধুয়ে আনন্দ করিয়া তারে ফিরায়ে আনিয়া দিই হাতে দিন-শেষে মিলনেব রাতে ।” মানুষের মধ্যে স্বষ্টির যে এই স্বাধীন স্বতন্ত্রতা আছে, সেইটিই তার স্বাধীনতা । সেই স্বাধীনতা কোন প্রাকৃতিক নিয়ম-নিগড়ের দ্বারা সংযন্ত্রিত নহে । সে চলে তার আপন ছন্দে । তাই তার পদে পদে তাল কাটে, ভুল ও প্রমাদের বাধা তার গতিচ্ছন্দকে আঘাত করে। কিন্তু তার গতি আছে, তাই সে বাধাকে ভয় করে না । বেতালে ঠেকিয়া সে আপন তালকে আপনি স্থষ্টি করে । মানুষের মধ্যে দেবতা আপনার স্বরূপকে জন্ম দিয়াছেন । মানুষের পৰিস্ফূৰ্ত্তিব মধ্য দিয়া দেবতা আপন পরিস্ফূৰ্ত্তিকে সাক্ষাৎ করেন। সেইজন্য মানুষের মধ্যে এই বোধ সৰ্ব্বদা জাগ্রত রহিয়াছে ষে, অনবরত বিকাশের মধ্য দিয়া তাহাকে ফুটাইয়া তুলিতে হইবে । মাটীর ধরণীর আলো আঁধারের স্ফুট অফুট জগতের মধ্যে তিনি শূন্ত হাতে মানুষকে এই ছাড়িয়া দিয়াছেন যে, সে তাহার আপন স্থষ্টির লীলায় এই নূতন স্বষ্টির সামঞ্জস্য পাপ ও সঙ্কটের মধ্যে হৃতম্বর্গের একটি পুনরুদ্ধার সম্পন্ন করিয়া তুলিবে। যে অজানার আহান মানুষকে তার ক্রম-পরিস্ফূৰ্ত্তির দিকে ক্রমশঃ টানিয়া লইয়া যাইতেছে, আরও, আরও আগে চল, আগে চল এই বাণী যে নিরস্তর মানুষের হৃদগহবর হইতে উখিত হইতেছে, ইহাই আমাদের মধ্যে, সেই পরম অজানার আত্মপরিস্ফুরণের আকাঙ্ক্ষা ; আমাদের মধ্যেই তার আত্মপ্রকাশ। এই আহানে সাড়া দিয়া আমাদের আত্মপরিস্ফূৰ্ত্তিতে আমরা যাহা হষ্টি করিতে পারি, তাহাতেই তাহার পরম পরিতৃপ্তি !