পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

նդe রৰি-দীপিত “তুমি তো গড়েচ শুধু এ মাটির ধরণী তোমার মিলাইয়া আলোকে আঁধার শূন্ত হাতে সেথা মোরে রেখে হাসিছ আপনি সেই শূন্যের আড়ালে গুপ্ত থেকে দিয়েচ আমার পরে ভার তোমার স্বর্গটি রচিবার আর সকলেরে তুমি দাও। শুধু মোর কাছে তুমি চাও ! আমি যাহা দিতে পারি আপনার প্রেমে, সিংহাসন হ’তে নেমে হাসিমুখে বক্ষে তুলে নাও। মোর হাতে যাহা দাও তোমার আপন হাতে তা’র বেশি ফিরে তুমি পাও ৷” উপনিষদে দেখি, উদৈক্ষত বহুস্তাম্, সদেবেদমগ্রে আসাং অসদেবেদমগ্রে আলীং, স তপোহতপ্যত স তপস্তপ্ত সৰ্ব্বমিদমস্তজং। তিনি যখন তাহার পরম ঐক্যের মধ্যে অবিচলিত হষ্টিশক্তিব শূন্ত পূর্ণতায় পরিপূর্ণ ছিলেন, তখন তার রূপ ছিল তাব অজ্ঞাত, তাই তিনি আপন স্বরূপকে উপলব্ধি করিবার জন্ত, আপনাকে দেখিবার জন্য যে তপস্যা কবিয়াছিলেন, সেই তপস্যার ফলেই এই জগতের স্বষ্টি। তাহার আপন শূন্ত-পূর্ণতার মধ্যে যখন তাহাকে দেখি, তাহার সেই একক স্বভাবের মধ্যে যাহা পাই, তাহাকে সংও বলা যায়, অসংও বলা ষায়। যে সত্তা নিরস্তর ক্রিয়া-ব্যাপারের দ্বারা আপনাকে প্রকাশ না করে, তা শূন্ততার অস্তিতা। আপন একত্বের পরিপূর্ণতার মধ্যেই তাহা সম্পূর্ণ রিক্ত, সেইজন্যই তিনি আপন ঈক্ষাব্যাপারের দ্বারা আপনাকে যথার্থরূপে সং করিবার চেষ্টায় ব্যাপৃত হইলেন। কিন্তু সমস্ত জগতের মধ্যে তিনি আপনাকে যেভাবে প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা একটা মূঢ় প্রকাশ মাত্র }