পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४२ রবি-দীপিতা অামায় দেখবে বলে’ তোমার অসীম কৌতুহল নইলে তো এই স্বৰ্য্যতার সকলি নিষ্ফল ॥৮ অনেকদিন পূর্বের আর একটি গানে কবি লিখিয়াছেন, “আমার মিলন লাগি তুমি আসচ কবে থেকে, তোমার চন্দ্র স্বৰ্য্য তোমায় রাখবে কোথায় ঢেকে !” সমস্ত প্রকৃতির মধ্য দিয়া যে স্বষ্টিস্রোত চলিয়াছে তাহার পরম পর্য্যবসান হইল মানুষে। মামুষের মধ্যে যে প্রকাশ ফুটিয়া উঠিয়াছে, সমস্ত স্বষ্টিলীলা যেন সেই জন্যই উন্মুখ হইয়াছিল! সমস্ত প্রকারের মূক স্বষ্টি, সমস্ত প্রকৃতির নিয়মনির্দিষ্ট গতি-ব্যাপার মানুষের মধ্যে আসিয়া অসীম স্বচ্ছন্দতা লাভ করিয়াছে, জড়-শক্তি, জৈব-শক্তি, বোধি জাগবণের, আত্মামুভবের চৈতন্যময় শক্তিতে পরম সম্পূর্ণতা ও সফলতা লাভ করিয়াছে। মানুষেব মধ্যে এই বিকাশ সম্ভব হইয়াছে বলিয়াই সমস্ত স্বাক্ট-ব্যাপার অর্থপূর্ণ হইয়াছে। বিশ্বের সমস্ত শক্তি যেন নানা ঘূর্ণীর মধ্য দিয়া আসিয়া মানুষের মধ্যে হঠাৎ সচেতন হইয়া আপনাকে নিরীক্ষণ করিয়া দেখিলেন । সেই পরম অজানা যেন জাগিয়া উঠিয়া বলিলেন, এই যে আমি, এই যে আমার বিশ্ব ; বিশ্বের মধ্যে যে লীলা, সে তো এই আমারই লীলা । এই যে আমার লীলা, সে তো বিশ্বেরই লীলা । মানুষের মধ্যে আসিয়াই অজানা জানা হইল, কারণ, তাহার জীবন মরণে সে সেই অজানারই রাজত্ব রক্ষা করিয়া চলিয়াছে। তাই সে বলে— "বাসার আশা গিয়েচে মোর ঘুরে, কঁপি দিয়েচি আকাশরাশিতে ; পাগল, তোমার স্বষ্টিছাড়া মুরে তান দিয়ে মোর ব্যথার বাশিতে।” দাড়িম্বে, পলাশগুচ্ছে, কাঞ্চনে, পারুলে বসন্তের যে কোলাহল ছিল একাত্ত প্রাকৃতিক ব্যাপার, তাহা মানুষের জীবনের মধ্যে আলিয়া তাহার সহিত যেন