পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাক ከr¢ জয় করাতে গতির সার্থকতা। জরামুত্যু, পাপদুঃখ, জড়ত সমস্তই এই বাধার বিভিন্ন স্বরূপ মাত্র। বাধার সহিত দ্বন্দ্বের প্রতি ভঙ্গীতেই আমাদের আত্মার চলৎস্বরূপ নিৰ্ম্মিত হইতেছে। বাধাজয়েব আনন্দই চলার আনন্দ, এবং এই চলার আনন্দেই মানুষের চরম সার্থকতা। অজানার মূৰ্ত্তি মানুষের জানা নাই, কিন্তু আমাদের প্রত্যেক বিকাশের মধ্য দিয়াই যে নূতন নূতন গতি পরিণাম আবৰ্ত্তিত হইয়া চলিয়াছে, ইহার মধ্যে অজানার রূপ প্রতিবিম্বিত হইতেছে, কাজেই অজানা আমাদের একান্ত অজানা নহে । রবীন্দ্রনাথ কোন দার্শনিক তত্ত্বের বিচার করিতে বসেন নাই, কিন্তু তথাপি এই অনুভবের মধ্যে তাহার কাব্য বক্তমাংসে সজীব হইয়া উঠিয়াছে। এই *IŅssfữq fÈRE Bradley, Bosanquet, Pringle-Pattison, Bergson প্রভৃতির মতবাদের যে একটি গভীর সামঞ্জস্য ও ঐক্য আছে তাহা যাহারা ঐ সকল গ্রন্থ কারদেব গ্রন্থ পড়িয়াছেন, তাহার। অনায়াসেই উপলব্ধি করিবেন। Idealistic Ti RataRt:7# Rø4 #H =R#d đề cq Reality is spiritual অর্থাং তত্ত্বমাত্রই আত্মিক । এই হিসালে রবীন্দ্রনাথকে idealist বা বিজ্ঞানবাদী বলা চলে । কিন্তু যে সকল idealistর জগৎকে কেবলমাত্র মায়াপ্রপঞ্চ বলেন, রবীন্দ্রনাথ সে দলের লোক নহেন। মানুষের সহিত জগতেব যে একটা Organic relation বা অঙ্গাঙ্গিভাব-সম্বন্ধ রহিমাছে, সে কথা রবীন্দ্রনাথ কোথাও স্পষ্টত: বলেন নাই ; তাহার অধিকাংশ কবিতার মূলে সেই দ্যোতনা তাহার অনুভবের জ্যোতিঃরেখার মধ্যে প্রকাশিত হইয়া রহিয়াছে। আধুনিক ইয়ুরোপীয় দার্শনিকদের মধ্যে এই Organic relation বা অঙ্গগিভাব সম্বন্ধটি যে ভাবে অনুভূত হইয়াছে, রবীন্দ্রনাথের অনুভবটি তাহা হইতে একটু স্বতন্ত্র । আধুনিক ইয়ুরোপীৰ দার্শনিকদের Organic relationএর কথায় যাহা দেখিতে পাই, তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে মানুষ প্রাকৃতিক জগং হইতে ক্রমবিকাশ ধারায় উৎপন্ন হইয়াছে। গাছের যেমন চরম পরিণতি তাহার ফুলে ও ফলে, মানুষও তেমনি সমস্ত প্রকৃতিবৃক্ষের একটি পুষ্পম্বরূপে তাহারই দেহসমৃদ্ধ হইয়া ফুটিা উঠিয়াছে। সেইজন্য প্রকৃতির