আমি রব একলা স্বাধীন
সবাই হবে দাস।
তাই গড়েছি রজনী-দিন
লোহার শিকলখানা—
কত আগুন কত আঘাত
নাইকো তার ঠিকানা।
গড়া যখন শেষ হয়েছে
কঠিন সুকঠোর
দেখি আমায় বন্দী করে
আমারই এই ডোর।
“ভার” কবিতাটিতেও ঐ একই কথা। আপনার দিকেই সমস্ত ভার— তাঁহার দিকেই মুক্তি।
এ বোঝা আমার নামাও, বন্ধু, নামাও—
ভারের বেগেতে ঠেলিয়া চলেছে,
এ যাত্রা মোর থামাও।
‘খেয়া'র আর একটিমাত্র কবিতার উল্লেখ করিয়া আমার এ সমালোচনা শেষ করিব— সেটি “সব-পেয়েছির দেশ”।
উপনিষদে অনন্ত সত্যস্বরূপকে আনন্দের দ্বারা উপলব্ধি করিবার কথা আছে। যতো বাচো নিবর্তন্তে— বাক্য যাঁহা হইতে নিবৃত্ত হয়— আনন্দং ব্রহ্মণো বিদ্বান্ ন বিভেতি কুতশ্চন— ব্রহ্মের সেই আনন্দকে জানিয়া সাধক কিছু হইতেই ভয় পান না।
উপনিষদ্ আনন্দস্বরূপের উপলব্ধিকে কেবল অন্তরের জিনিস করিয়া রাখেন নাই। উপনিষদে নিখিল সত্যের সঙ্গে আনন্দের পরিপূর্ণ যোগ, সত্যের সঙ্গে রসের কোনো বিচ্ছেদ নাই। এই রস পাইয়াই লোকে
১১৮