পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী هلوا “একটা কেবল সাস্বনার বিষয় শুধু ক্ষণে ক্ষণে মনে জেগে ওঠে সেই যুগটাই নকলের যুগ। পূর্ববর্তী সাহিত্যের আবির্ভাব তখনো সে সম্পূর্ণ আপনার করে নিতে পারে নি। সে-যুগের ইংরেজ কবিদের মধ্যে যাদের রচনা গ্রহণ করবার শক্তি জেগেছিল, সেটা বাইরে থেকে ব্যঙ্গরূপেই প্রকাশ পেয়েছে । তখন আমাদের র্যারা প্রশংসা করেছেন, তার নকল শেলি বায়রন রূপে আমাদের অভিহিত করে আমাদের গৌরব দান করেছেন। অর্থাৎ আমরা সে-সকল আহরিত সাহিত্য-সম্পদ তখনো স্বকীয় করে নিতে পারিনি। সুতরাং আমাদের মধ্যে যদি তাদের প্রভাব অক্ষম অনুকরণের পথে চালনা করে থাকে, তবে হয়তো সেই যুগের লজ্জার ভাগী আমরা সকলেই। যে-বয়সে এই যুগ স্বভাবত উপনীত হতে পারেনি, সেই বয়সকে ডিঙিয়ে যাবার চেষ্ট৷ করেছে।

  • তখন যে এদেশের কচিসাহিত্যসমাজে কেবল বিদেশী কবির গোপদাড়ির চর্চা চলেছিল তা নয়—বালখিল্য গারিবলডির দলকেও খোড়া গতিতে সদর রাস্তায় কুচকাওয়াজ করিয়ে তরুণরা গৌরব বোধ করছিল । এবং তার মধ্যে মধ্যে নকল গ্যারিকের প্রতি হাততালি প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠেছিল। ইতি কলিকাতা ১৮ই কাৰ্তিক, ১৩৪৭।”

এই রচনাগুলি সম্বন্ধে কবির বিরাগ থাকিলেও, আমাদের আগ্রহাতিশয়ে তিনি এগুলির পুনঃপ্রকাশে আর বাধা দেন নাই। এগুলি পুনঃপ্রচলন করিবার কারণ আমরা প্রথম খণ্ডে আমাদের নিবেদনে জানাইয়াছি । H রবীন্দ্রনাথের বিরাগ মানিয়া লইয়াও আমরা যে এই সকল পুস্তকপুস্তিক পুনঃপ্রকাশ করিয়াছি, এজন্ত আজ আমরা সমসাময়িক ও ভবিষ্যদ্বংশীয়দের কৃতজ্ঞতা লাভের আশাই মনে পোষণ করিব । রবীন্দ্রনাথ আজ আমাদের মধ্যে নাই ; রবীন্দ্রনাথের ভাবনা ও কল্পনা,