পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীশ্র-রচনাবলী " داداد ጙ কলঙ্কের ভালি মাথায় করিয়া अॉनल ८ऊछांझे घट्द्र !” রাধা শু্যামকে প্রথম দেখিয়াই বলিয়া উঠিলেন, “এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা কেমনে আইল বাটে, আঙ্গিনার কোণে তিতিছে বঁধুয়া দেখিয়া পরাণ ফাটে !” কিন্তু তাহার পরেই যে তৎক্ষণাৎ মুখ ফিরাইয়া সর্থীদের ডাকিয় কহিলেন, “সই, কি আর বলিব তোরে, বহু পুণ্য ফলে সে হেন বঁধুয়া আসিয়া মিলল মোরে !” ইহার মধ্যে কতটা কথা রাধার মনের উপর দিয়া চলিয়া গিয়াছে ! কতটা কথা একেবারে বলাই হয় নাই ! প্রথমেই শু্যামকে ভিজিতে দেখিয়া দুঃখ, তাহার পরেই সর্থীদের ডাকিয় তাহাদের কাছে মুখের উচ্ছ্বাস, ইহার মধ্যে শৃঙ্খলটি কোথায় ? সে শৃঙ্খল পাঠকদিগকে গড়িয়া লইতে হয়। রাধা যা কহিল, তাহা ত সামান্ত, কিন্তু রাধা যা কহিল না তাহ কতখানি । যাহা বলা হইল না পাঠকদিগকে তাহাই শুনিতে হইবে । শু্যামকে ভিজিতে দেখিয়া রাধার দুঃখ, ও শু্যামকে ভিজিতে দেখিয়াই রাধার স্থখ, উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব হইতেছে । রাধার হৃদয়ের এই তরঙ্গ-ভঙ্গ, এই উখানপতন, কত অল্প কথায় কত সুন্দররাপে ব্যক্ত হইয়াছে। প্রথম দুই ছত্রে শুামকে দেখিয়া দুঃখ, দ্বিতীয় দুই ছত্রে মুখ, তৃতীয় দুই ছত্রে আবার দুঃখ, চতুর্থ দুই ছত্রে আবার মুখ । রাধা হাসিবে কি কাদিবে ভাবিয়া পাইতেছে না । রাধা স্বথে দুঃখে আকুল হইয়। পড়িয়াছে। শেষে রাধা এই মীমাংসা করিল, হ্যাম আমার জন্য কত কষ্ট পাইয়াছে, আমি শু্যামের জন্য ততোধিক কষ্ট স্বীকার করিয়া, খামের সে ঋণ পরিশোধ করিব। बिउँौग्न नृहेख् -

  • “সই, কেমনে ধরিৰ হিয়া ? আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙ্গিনা দিয়া ! সে বঁধু কালিয়া না চায় ফিরিয়া, এমতি করিল কে ?