পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী مما “Roto-5%i' s of Selected Passages for Bengali Translation—দুইটি মিলিয়া একটি সম্পূর্ণ গ্রন্থ। ছুটির পড়া’, ‘বিচিত্র পাঠ, পাঠপ্রচয় প্রভৃতি কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক পুনমুদ্রণের আবশ্বকতা আমরা অনুভব করি নাই, কারণ এগুলি সঙ্কলনগ্রন্থ । যে-সকল রচনা এগুলিতে সঙ্কলিত হইয়াছে, সেগুলি প্রচলিত রচনাবলীতে যথাস্থানে মুদ্রিত হইয়াছে বা হইবে । তাহ ছাড়া এগুলিতে অন্তের রচনাও সঙ্কলিত হইয়াছে। ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগ এবং শিক্ষক’ পুস্তকগুলিও আমরা গ্রহণ করি নাই। রবীন্দ্রনাথ এগুলির সূচনা ও সম্পাদনা করিয়াছিলেন, রচনা শ্রীহরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের । এই প্রসঙ্গে ‘সংস্কৃত প্রবেশ’ হইতে রবীন্দ্রনাথের সম্পাদকীয় নিবেদন নিম্নে মুদ্রিত হইল— ভাষার সহিত কিছুমাত্র পরিচয় হইবার পূৰ্ব্বেই শিশুদিগকে তাহার ব্যাকরণ শিথাইতে আরম্ভ করা, ভাষাশিক্ষার সদুপায় বলিয়া আমি গণ্য করি না। এইজন্য আমার গৃহে বালকবালিকাদিগকে যখন সংস্কৃত শিখাইবার সময় উপস্থিত হইল, তখন আর কোনো সুবিধা না দেখিয়া নিজে একটা সংস্কৃত পাঠ লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলাম। তাহাতে গোড়া হইতে প্রয়োগশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই ভাষাশিক্ষণ ও ভাষার সহিত পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশঃ ব্যাকরণশিক্ষার ব্যবস্থা করা হইয়াছিল। কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় আমার যে স্বল্পমাত্র অধিকার আছে—তাহাতে আমার কিছুদূর পর্য্যন্ত প্রণালী নির্দেশ করিয়া দেওয়াই শোভা পায়—সঙ্কটের আশঙ্কা করিয়া তাহার অধিক অগ্রসর হইতে পারি নাই। বোলপুর ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম স্থাপিত হইলে পর, সেখানকার ছাত্রদের যখন সংস্কৃত শিক্ষার সুপ্রণালী অনুসরণ করা আবশ্যক বোধ করিলাম, তখন আদর্শস্বরূপ “সংস্কৃত প্রবেশ” প্রথম কিয়দংশ লিখিয়া ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রমের স্থযোগ্য অধ্যাপক প্রযুক্ত হরিচরণ কাব্যবিনোদ মহাশয়ের হস্তে উহা শেষ করিবার জন্য সমপণ করিলাম । তিনি এই প্রণালী অনুসারে অধ্যয়ন করাইতে গিয়া, ইহার সফলতার প্রমাণ পাইয়াছেন এবং উৎসাহের সহিত এই গ্ৰন্থরচনা সমাধা করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। * I