পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা థీసిసి না দেখি নয়ন করে অন্থক্ষণ, দেখিতে তোমায় দেখি । সোঙরণে মন, মূৰ্বছিত হেন भूषिां ब्रह्रियश्च वैथि ॥ শ্রবণে শুনিয়ে তোমার চরিত, আন না ভাবিয়ে মনে । নিমিষের আধ পাশরিতে নারি ঘুমালে দেখি স্বপনে ! জাগিলে চেতন হারাই যে আমি তোমা নাম করি কঁাদি । পরবোধ দেই এ রায়-বসন্ত তিলেক থির নাহি বাধি ॥ ইহার প্রথম দুটি ছত্রে ভাবের অধীরতা, ভাষার বাধ ভাঙ্গিবার জন্য ভাবের আবেগ কি চমৎকার প্রকাশ পাইতেছে ! "প্রাণনাথ কেমন করিব আমি !” ইহাতে কতখানি আকুলত প্রকাশ পাইতেছে! আমার প্রাণ তোমাকে লইয়া কি যে করিতে চায় কিছু বুঝিতে পারি না। এত দেখিলাম এত পাইলাম, তবুও প্রাণ আজও বলিতেছে “প্রাণনাথ কেমন করিব আমি !” বিদ্যাপতি বলিয়াছেন, লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়ে রাখন্থ তবু হিয়ে জুড়ন না গেল ! বিদ্যাপতি সমস্ত কবিতাটিতে যাহা বলিয়াছেন, ইহার এক কথায় তাহার সমস্তটা বলা হইয়াছে এবং তাহা অপেক্ষা শতগুণ.অধীরতা ইহাতে ব্যক্ত হইতেছে । "প্রাণনাথ কেমন করিব আমি !” দ্বিতীয় ছত্রে রাধা খামের মুখের দিকে আকুল নেত্ৰে চাহিয়া কহিতেছেন "কে জানে কেমন তুমি ” যাহার এক তিল উদ্ধে উঠিলেই ভাষা মরিয়া যায়, সেই ভাষার শেষ সীমায় দাড়াইয়া রাধা বলিতেছেন “কে জানে কেমন তুমি ” আর এক স্থলে রাধা বলিতেছেন— ওহে নাথ, কিছুই না জানি, তোমাতে মগন মন দিবস রজনী । জাগিতে ঘুমিতে চিতে তোমাকেই দেখি, পরাণ পুতলী তুমি জীবনের সখি ! 3 *