আলোচনা ૨છે জগতের খাতায় এরূপ বিশৃঙ্খলা এরূপ ভুল হইবার কোন সম্ভাবনা নাই। অতএব আমাদের বুঝা উচিত জগতের বিরোধী হওয়াও যা, নিজের বিরোধী হওয়াও তা, জগতের সহিত আমাদের এতই ঐক্য ! যে পথে তপন শশী আলো ধ’রে আছে, সে পথ করিয়া তুচ্ছ, সে আলো ত্যজিয়া, ক্ষুদ্র এই আপনার খদ্যোত আলোকে কেন অন্ধকারে মরি পথ খুজে খুজে । 弥 泰 皋 赛 পার্থী যবে উড়ে যায় আকাশের পানে, সেও ভাবে একু বুঝি পৃথিবী ত্যজিয়া । যত ওড়ে, যত ওড়ে, যত উৰ্দ্ধে যায় কিছুতে পৃথিবী তৰু পারে না ত্যজিতে অবশেষে শ্রাস্ত দেহে নীড়ে ফিরে আসে । জগতের ধৰ্ম্ম । অতএব প্রকৃতির মধ্যে যে ধ্রুব বৰ্ত্তমান, স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক সচেতনে সেই ধ্রুবের অনুগামী হওয়াই ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্ম শব্দের অর্থই দেখ না কেন । যাহাতে আবরণ বা নিবারণ করে তাহাই বৰ্ম্ম, যাহাতে ধারণ করে তাহাই ধৰ্ম্ম । দ্রব্যবিশেষের ধৰ্ম্ম কি ? যাহা অভ্যন্তরে বিরাজ করিয়া সেই দ্রব্যকে ধারণ করিয়া আছে ; অর্থাৎ যাহার প্রভাবে সেই দ্রব্যের দ্রব্যত্ব খাড়া হইয়াছে । জগতের ধৰ্ম্ম কি ? জগং যে আচল নিয়মের উপর আশ্রয় করিয়া বৰ্ত্তমান রহিয়াছে তাহাই জগতের ধৰ্ম্ম, এবং তাহাই জগতের প্রত্যেক অণু-কণার ধৰ্ম্ম । o উদাহরণ। একটি উদাহরণ দিই। জগতের একটি প্রধান ধৰ্ম্ম পরার্থপরতা। স্বার্থপরতা জগতের ধৰ্ম্ম-বিরুদ্ধ। এই নিমিত্ত জগতের কোথাও স্বার্থপর নাই। পরের জন্য কাজ করিতেই হইবে তা ইচ্ছা কর আর না কর। জগতের প্রত্যেক পরমাণু তাহার পরবর্তী ও তাহার নিকটবৰ্ত্তীর জন্য, তাহার নিজের মধ্যে তাহার বিরাম নাই। তাহার
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।