পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ ७२ রবীন্দ্র-রচনাবলী পিপার সামান্ত স্থানের মধ্যে প্রবেশযোগ্য । অতএব পেট্রোলিয়ম-বর্ষণ আশঙ্কা করিবার প্রয়োজন নাই । Y S \o) কিন্তু অন্য সকল বিপত্তি আছে । আমাদের জীবিতকালের মধ্যেই দেখিয়াছি, বাহিরের কোনও কারণ ব্যতিরেকেও আমাদের ভূমণ্ডল বিদীর্ণ হইয়াছে। ১৮৮৩ খ্ৰীষ্টাব্দে আগষ্ট মাসে মুণ্ড দ্বীপে কারাগাতোয় নামক একটি ক্ষুদ্র জালামুখীর সমুদ্রতলবর্তী একটি স্থানে এইরূপ ঘটিয়া অগ্নিময় গৰ্ত্তের মধ্যে সমুদ্রজলের প্রবেশ-পথ হইয়াছিল। অগ্নিগহবর সমুদ্রকে মেঘলোকে উৎক্ষিপ্ত করিয়া দিয়াছিল ; তাহাতে প্রকাণ্ড তরঙ্গ স্বল্প হইয়া তাহ তট-ভূমিতে এক শত ফুট উদ্ধে উচ্ছি ত হইয়াছিল। তাহা জালামুখীর নিকটবৰ্ত্তী সমস্ত সহর ধ্বংস করিয়া দিয়াছিল এবং পঞ্চাশ হাজার মানুষকে জলমগ্ন করিয়াছিল। ইহাই পঞ্চাশ হাজার লোকের পক্ষে জগতের অবসান, এবং সেই অবসান সম্পূর্ণ অপ্রতীক্ষিতভাবেই আসিয়াছিল। এই আপংপাতের বেগকে বহুগুণিত করিয়া কল্পনা করা যাক—মনে করা যাক, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের Mouno Los নামক পৃথিবীর প্রবলতম দহমান জালামুখী সহসা প্যাসিফিক মহাসাগরে নিমজ্জিত হইয়াছে ; তাহা হইলে এমন এক তরঙ্গ সহজেই উঠিতে পারে, যাহা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বহু জনসমূহকে ডুবাইয়া দিতে পারে। ইহা বিন ঘোষণায় কালই এমন কি, আজই ঘটিতে পারে । > 〉8 জাপানে চাউল লুণ্ঠন-ঘটিত গুরুতর দাঙ্গায় পৰ্য্যবসিত যে খাদ্য-সমস্যা গত কয়দিনের টেলিগ্রামে বর্ণিত হইয়াছে, তাহ নূতন ব্যাপার নহে ; কারণ বাণিজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি প্রধান আহাৰ্য্য দ্রব্য পাওয়া কঠিন হইয়া উঠিয়াছে। মে মাসের শেষভাগে য়োকোহামার একজন পত্ৰলেখক তাহার লিখিত পত্রে নির্দেশ করিয়াছেন যে, বিদেশী চাউল আমদানী ও সঙ্গত মূল্যে উহার বিক্রয় নিয়ন্ত্রিত করার জন্য জাপান গভর্ণমেণ্ট কতকগুলি বহু পল্লবিত নিয়মপত্র বাহির করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । S X (t তিনি বলিয়াছিলেন সচরাচর জাপানের প্রয়োজনীয় সমস্ত চাউল প্রায় জাপানেই উৎপন্ন হইয়া থাকে, এবং বিদেশী চাউল-সম্বন্ধে বরাবর জাপানের একটি প্রবল বিরুদ্ধ