পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ প্রশ্ন \లవషా করেন মৃত্যুস্বীকারী শিখবীরদের কথা ইতিহাস হইতে সংগ্ৰহ করিয়া পড়িতে পারেন । এইরূপ কবিতা কণ্ঠস্থ করিয়া আবৃত্তি করিবার যোগ্য । বঙ্গমাতা নির্জীব ভালোমামুষি-চর্চার বিরুদ্ধে কবির ভৎসনা লক্ষ্য করিয়া এই কবিতাটি তোমার ভাষায় লেখো । মায়ের সম্মান গদ্য ভাষায় লেখো। নমুনা :– অপূৰ্বদের বাড়ি ছিল ধনীর ঘর, আসবাবে ভরা, গাড়িঘোড়া লোকজনে ঠেসাঠেসি ভিড়। এইখানে আশ্রয় লইয়াছিল অপূর্বদের এক মাসি। মোক্ষকামী স্বামী তার স্ত্রী এবং বালক দুইটি ছেলে ত্যাগ করিয়া কোথায় চলিয়া গেছে ঠিকানা নাই । কথ্য ভাষাতেও লেখা চলিতে পারে । পদ্ম। পদ্মার প্রতি কবির প্রীতি-সম্বন্ধ এই কবিতায় প্রকাশ পাইয়াছে, প্রশ্নোত্তরের কোনো অবকাশ নাই । পড়িয়া যদি রস পাও সেই যথেষ্ট । বিচারক নিভাক কত ব্যপরায়ণ ত্যাগী ব্রাহ্মণের চরিত্র এই কাব্যের প্রধান লক্ষ্য । তাহার কাছে দর্পান্ধ নৃপতির বিপুল যুদ্ধ-আয়োজন তুচ্ছ । গদ্য ভাষায় বর্ণনা করে । বিশ্বদেব গদ্যে লেখে । যথা, হে বিশ্বদেব, পূর্বগগনে আমার স্বদেশে তোমাকে আজ কী বেশে দেখিলাম । নীল নভস্তলের নির্মল আলোকে চিরোজ্জল তোমার ললাট, হিমাচল যেন বরাভয় হস্তরূপে তোমার আশীৰ্বাদ তুলিয়া ধরিয়াছে ; আর বক্ষে দুলিতেছে জাহ্নবী তোমার হার আভরণ। হৃদয় খুলিয়া বাহিরের দিকে চাহিয়া নিমেষের মধ্যে দেখিলাম বিশ্বদেবতা, তুমি মিলিত হইয়াছ আমার সনাতন স্বদেশে। দীনদান ঐশ্বর্যমণ্ডিত মন্দিরে রাজ-প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহকে ভক্ত কেন সত্য বলিয়া স্বীকার করিলেন না। “দেবতার বিদায়” কবিতার সঙ্গে ইহার ভাবের মিল আছে । ভোরের পাখি ভোরের পাখির ভাবখানা কৗ । শেষের কয়েকটি শ্লোকে ইহার আসল কথাটি পাওয়া যাইবে । বুঝাইয়া দাও।