পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S२ রবীন্দ্র-রচনাবলী শৃঙ্গ হোতে শৃঙ্গাস্তরে উলটি পালটি । অমানিশীথের কালে নীরব প্রাস্তরে বসিয়াছি, দেখিয়াছি চৌদিকে চাহিয়া, সৰ্ব্বব্যাপী নিশীথের অন্ধকার গর্ভে এখনো পৃথিবী ষেন হতেছে স্বজিত । স্বর্গের সহস্ৰ আঁখি পৃথিবীর পরে নীরবে রয়েছে চাহি পলকবিহীন, স্নেহময়ী জননীর স্নেহ-আঁখি যথা স্বপ্ত বালকের পরে রহে বিকসিত । এমন নীরবে বায়ু যেতেছে বহিয়া, নীরবতা বাঁ বfা করি গাইছে কি গান— মনে হয় স্তব্ধতার ঘুম পাড়াইছে । কি সুন্দর রূপ তুমি দিয়াছ উষায়, হাসি হাসি নিদ্রোথিত বালিকার মত আধঘুমে মুকুলিত হাসিমাখ আঁখি । কি মন্ত্র শিথায়ে দেছ দক্ষিণ-বালারে— যে দিকে দক্ষিণবধূ ফেলেন নিশ্বাস, সে দিকে ফুটিয়া উঠে কুসুম-মঞ্চরী, সে দিকে গাহিয়া উঠে বিহঙ্গের দল, সে দিকে বসস্ত-লক্ষ্মী উঠেন হাসিয়া । কি হাসি হাসিতে জানে পূর্ণিমাশর্করী— সে হাসি দেখিয়া হাসে গম্ভীর পর্বত, সে হাসি দেথিয়া হেসে উথলে জলধি, সে হাসি দেখিয়া হাসে দরিদ্র কুটার । হে প্রকৃতিদেবি তুমি মানুষের মন কেমন বিচিত্র ভাবে রেখেছ পূরিয়া, করুণা, প্রণয়, স্নেহ, সুন্দর শোভন— ন্যায়, ভক্তি, ধৈর্য্য আদি সমুচ্চ মহান— ক্রোধ, দ্বেষ, হিংসা আদি ভয়ানক ভাব, নিরাশা মরুর মত দারুণ বিষঃ–