পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুকুট b)3 তলোয়ার তুমি মাটিতে ফেলে দিতে সাহস কর ! তোমার এই অপরাধের সমুচিত শাস্তি হওয়া চাই । ইন্দ্রকুমার। ( হাত ছাড়াইয়া লইয়া ) বুদ্ধ, আমাকে স্পর্শ ক’রো না । ইশা খা । পুত্র, এ কি পুত্র । তুমি আজ আত্মবিশ্বত হয়েছ। ইন্দ্রকুমার। সেনাপতি সাহেব, আমাকে ক্ষমা করে । আমি যথার্থই আত্মবিস্থত হয়েছি । আমাকে শাস্তি দাও । துர் যুবরাজ। ক্ষাস্ত হও ভাই, ঘরে ফিরে চলো । ইন্দ্রকুমার । ( মহারাজের পদধূলি লইয়া ) পিত, অপরাধ মার্জন করুন। আজ সকল রকমেই আমার হার হয়েছে । ইশা খা । মহারাজ, আমার একটি নিবেদন আছে। খেলার পরীক্ষা তো চুকেছে এবার কাঞ্জের পরীক্ষা হ’ক । দেথ। যাবে তাতে আপনার কোন পুত্র পুরস্কার আনতে পারে । মহারাজ । কোন কাজের কথা বলছ সেনাপতি ? ইশা খুঁ। আরাকানরাজের সঙ্গে মহারাজের যুদ্ধের মতলব আছে। সৈন্তও তো প্রস্তুত হয়েছে । এইবার কুমারদের সেই যুদ্ধে পাঠানো হ’ক । মহারাজ । ভালো কথাই বলেছ, সেনাপতি । খবর পেয়েছি আরাকানের রাজা চট্টগ্রামের সীমানার কাছে এসেছেন। বারবার শিক্ষা দিয়েছি কিন্তু মুখের শিক্ষার শেষ তো কিছুতেই হয় না, যমরাজের পাঠশালায় ন পাঠালে গতি নেই। কী বল বংসগণ ! আমাদের সেই চিরশত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে যাত্রা করে ক্ষত্রিচর্যে দীক্ষা গ্রহণ করতে রাজি কি ? ইন্দ্রকুমার । * আছি । দাদাও যাবেন । রাজধর । আমিও যাব না মনে করছ না কি ? মহারাজ। তবে ইশা খা, তুমি সৈন্তাধ্যক্ষ হয়ে এদের সকলকে শক্র-বিজয়ে নিয়ে যাও । ত্রিপুরেশ্বরী তোমাদের সহায় হ’ল ।