পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘরে-বাইরে శిeళరి দিয়ে জানলার কাছে বসে বিলিতি সেলাইয়ের কাজ করতে লাগলুম। এমন সময়ে বেহার এসে একখানা চিঠি আমার হাতে দিয়ে বললে, সন্দীপবাবু দিলেন –সাহসের আর অস্ত নেই –বেহারাটা কী মনে করলে ? বুকের মধ্যে র্কাপতে লাগল—চিঠি খুলে দেখি তাতে কোনো সম্ভাষণ নেই, কেবল এই কটি কথা আছে,-“বিশেষ প্রয়োজন । দেশের কাজ। সন্দীপ ।” রইল আমার সেলাই পড়ে। তাড়াতাড়ি আয়নার সামনে দাড়িয়ে একটুখানি চুল ঠিক করে নিলুম। শাড়িটা যেমন ছিল তাই রইল, জ্যাকেট একটা বদল করলুম। আমি জানি তার চোখে এই জ্যাকেটটির সঙ্গে আমার একটি বিশেষ পরিচয় জড়িত আছে । অrমাকে যে-বারান্দা দিয়ে বাইরে যেতে হবে তখন সেই বারান্দায় বসে আমার মেজো জা তার নিয়মমত স্থপুরি কাটছেন। আজ আমি কিছুই সংকোচ করলুম না । মেজো জা জিজ্ঞাসা করলেন, বলি চলেছ কোথায় ? আমি বললুম, বৈঠকখানাঘরে । এত সকালে ? গোষ্ঠলীলা বুঝি ? আমি কোনো জবাব না দিয়ে চলে গেলুম। মেজো জা গান ধরলেন, রাই আমাধ চলে যেতে চলে পড়ে । অগাধ জলের মকর যেমন, ও তার চিটে চিনি জ্ঞান নেই! বৈঠকখানাঘরে গিয়ে দেখি, সন্দীপ দরজার দিকে পিঠ করে ব্রিটিশ অ্যাকাডেমিতে প্রদর্শিত ছবির তালিকার একখানা বই নিয়ে মন দিয়ে দেখছেন। আর্ট সম্বন্ধে সন্দীপ নিজেকে বিচক্ষণ বলেই জানেন । একদিন আমার স্বামী তাকে বললেন যে, আর্টিস্টদের যদি গুরুমশায়ের দরকার হয় তবে তুমি বেঁচে থাকতে যোগ্য লোকের অভাব হবে না । এমন করে খোচা দিয়ে কথা বলা আমার স্বামীর স্বভাব নয়, কিন্তু আজকাল তার মেজাজ একটু বদলে এসেছে –সন্দীপের অহংকারে তিনি ঘা দিতে পারলে ছাড়েন না । সন্দীপ বললেন, তুমি কি ভাব, আর্টিস্টদের আর গুরুকরণ দরকার নেই ? স্বামী বললেন, আর্ট সম্বন্ধে আর্টিস্টদের কাছ থেকেই আমাদের মতো মাহবকে চিরকাল নতুন নতুন পাঠ নিয়ে চলতে হবে, কেননা এর কোনো একটিমাত্র বাধা

  • tठे ८महे ।