পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जाहिङ] \లిపి) অস্তিত্বমাত্রের গৌরবঘোষণা করিবার ভার লইয়াছেন। তাহারা ভাষা, ছন্দ ও রচনারীতির সৌন্দৰ দিয়া এমন সকল জিনিসকে আমাদের কাছে প্রত্যক্ষ করেন, অতিপ্রত্যক্ষ বলিয়াই আমরা যাহাদিগকে চাহিয়া দেখি না । অভ্যাসবশত সামান্যকে আমরা তুচ্ছ বলিয়াই জানি–র্তাহারা সেই সামাতের প্রতি তাহাদের রচনাসৌন্দর্বের সমাদর অর্পণ করিবামাত্র আমরা দেখিতে পাই, তাহা সামান্ত নহে, সৌন্দর্বের বেষ্টনে তাহার সৌম্ব ও তাহার মূল্য ধরা পড়িয়াছে। সাহিত্যের আলোকে আমরা অতিপরিচিতকে নূতন করিয়া দেখিতে পাই ৰলিয়া, মুপরিচিত এবং অপরিচিতকে আমরা একই বিস্ময়পূর্ণ অপূর্বতার মধ্যে গভীর করিয়া উপলব্ধি করি। কিন্তু মানুষের যখন বিকৃতি ঘটে, তখন সৌন্ধকে সে তাহার পরিবেশ হইতে স্বতন্ত্র করিয়া তাহাকে উলটা কাজে লাগাইতে থাকে। মাথাকে শরীর হইতে কাটিয়া লইলে সেই কাটামুও শরীরের যেমন বিরুদ্ধ হয়, এ তেমনি । সাধারণ হইতে বিশেষ করিয়া লইলে সাধারণের বিরুদ্ধে সৌন্দর্যকে দাড় করানো হয় ; তাহাকে সত্যের ঘর-শক্র করিয়া তাহার সাহায্যে সামান্তের প্রতি আমাদের বিতৃষ্ণা জন্মাইবার উপায় করা হয় । বস্তুত সে-জিনিসটা তখন সৌন্দর্যের যথার্থ ধর্মই পরিহার করে। ধর্মই বল, সৌন্দর্যই বল, যে-কোনো বড়ো জিনিসই বল না, যখনই তাহাকে বেড়া দিয়া ঘিরিয়া একটু বিশেষ করিয়া লইবার চেষ্টা করা হয়, তখনই তাহার স্বরূপটি নষ্ট হইয়। ষায়। নদীকে আমার করিয়া লইবার জন্ত বাধিয়া লইলে সে আর নদীই থাকে না, সে পুকুর হইয়া পড়ে । এইরূপে সংসারে অনেকে সৌন্দর্ধকে সংকীর্ণ করিয়া তাহাকে ভোগবিলাসের, অহংকারের ও মত্ততার সামগ্ৰী করিয়া তোলাতেই কোনো কোনো সম্প্রদায় সৌন্দর্যকে বিপদ বলিয়াই গণ্য করিয়াছে। তাহারা বলে সৌন্দর্য কেবল কনকলঙ্কাপুরী মজাইবার छछहे चां८छ् । *. ঈশ্বরের প্রসাদে বিপদ কিসে নাই ? জলে বিপদ, স্থলে বিপদ, আগুনে বিপদ, বাতাসে বিপদ। বিপদই আমাদের কাছে প্রত্যেক জিনিসের সত্য পরিচয় ঘটায়, তাহার ঠিক ব্যবহারটি শিখাইতে থাকে । ইহার উত্তরে কথা উঠিবে—জলে-স্থলে আগুনে-বাতাসে আমাদের এত প্রয়োজন যে, তাহাদের নহিলে একমুহূর্ত টিকিতে পারি না—সুতরাং সমস্ত বিপদ স্বীকার করিয়াই তাহাদিগকে সকলরকম করিয়া চিনিয়া লইতে হয়, কিন্তু সৌন্দর্যরসভোগ আমাদের পক্ষে অত্যাবস্তক নহে, স্বতরাং তহি নিছক বিপদ, অতএব তাহার একমাত্র উদ্বেগু এই বুঝি—ঈশ্বর আমাদের মন পরীক্ষা করিবার জন্যই সৌন্দর্যের মায়ামূগকে