পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 8 అ& সঙ্গে বন্ধুতা করিয়া বে-প্রণালীতে শত্রুজয় করিতে হইবে, তাহার স্বচনা করিতেছিলেন । গোরু তখন ধন বলিয়া এবং কৃষি পবিত্রকর্মরূপে গণ্য হইত। জনক স্বহস্তে চাষ করিয়াছেন । এই চাষের লাঙল দিয়াই তখন আর্ঘেরা ভারতবর্ষের মাটিকে ক্রমশ আপন করিয়া লইতেছিলেন। এই লাঙলের মুখে অরণ্য হঠিয়া গিয়া কৃষিক্ষেত্র ব্যাপ্ত হইয়া পড়িতেছিল। রাক্ষসেরা এই ব্যাপ্তির অস্তরায় ছিল। প্রাচীন মহাপুরুষদের মধ্যে জনক যে আর্যসভ্যতার একজন ধুরন্ধর ছিলেন, নানা জনপ্রবাদে সে-কথার সমর্থন করে। ভারতবর্ষে কৃষিবিস্তারে তিনি একজন উদযোগী পুরুষ ছিলেন। তাহার কস্তারও নাম রাখিয়াছিলেন সীতা । পণ করিয়াছিলেন, যে-বীর ধনুক ভাঙিয়া অসামান্ত বলের পরিচয় দিবে, তাহাকেই কন্যা দিবেন। সেই অশাস্তির দিনে এইরূপ অসামান্ত বলিষ্ঠপুরুষের জন্ত তিনি অপেক্ষা করিয়া ছিলেন। প্রবল শক্রর বিরুদ্ধে যে-লোক দাড়াইতে পারিবে, তাহাকে বাছিয়া লইবার এই এক উপায় ছিল । বিশ্বামিত্র রামচন্দ্রকে অনার্যপরাভবব্ৰতে দীক্ষিত করিয়া তাহাকে জনকের পরীক্ষার স্থলে উপস্থিত করিলেন । সেখানে রামচন্দ্র ধন্থক ভাঙিয়া তাহার ব্রতগ্রহণের শ্রেষ্ঠ অধিকারী বলিয়া আপনার পরিচয় দিলেন। তার পর তিনি ছোটোভাই ভরতের উপর রাজ্যভার দিয়া মহৎ প্রতিজ্ঞাপালনের জন্ত বনে গমন করিলেন । ভরদ্বাজ অগস্ত্য প্রভৃতি যে-সকল ঋষি দুৰ্গম দক্ষিণে আর্যনিবাস-বিস্তারে প্রবৃত্ত ছিলেন, তাহাদের উপদেশ লইয়া অম্লচর লক্ষ্মণের সঙ্গে অপরিচিত গহন অরণ্যের মধ্যে তিনি অদৃপ্ত হইয়া গেলেন । সেখানে বালি ও সুগ্ৰীব নামক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইয়ের মধ্যে এক ভাইকে মারিয়া অন্ত ভাইকে দলে লইলেন। বানরদিগকে বশ করিলেন, তাহাদিগকে যুদ্ধবিদ্যা শিখাইয়া সৈন্ত গড়িলেন। সেই সৈন্ত লইয়া শক্রপক্ষের মধ্যে কৌশলে আত্মবিচ্ছেদ ঘটাইয়া লঙ্কাপুরী ছারখার করিয়া দিলেন । এই রাক্ষসেরা স্থাপত্যবিদ্যায় মুদক্ষ ছিল। যুধিষ্ঠির যে আশ্চর্য প্রাসাদ তৈরি করিয়াছিলেন, ময়দানব তাহার কারিকর। মন্দিরনির্মাণে দ্রাবিড়জাতীয়ের কৌশল আজ পর্যন্ত ভারতবর্ষে বিশিষ্টতালাভ করিয়াছে। ইহারাই প্রাচীন ইজিপ্টীয়দের স্বজাতি বলিয়া যে কেহ কেহ অনুমান করেন, তাহ নিতান্ত অসংগত বোধ হয় না। বাহা হউক, স্বর্ণলঙ্কাপুরীর ষে প্রবাদ চলিয়া আসিয়াছিল, তাহার একটা-কিছু মূল چه دسسbr