পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 8ᏬᎽ ংশের মতো ফেলে দিলে কোনো ক্ষতি হবে না। আমরা যেভাবে চলেছি তাতে তাড়াতাড়ি একটা কথা সংশোধন করবার কোনো দরকার দেখি নে। তুমি বলেছ, সাহিত্য যদি লেখকের আত্মপ্রকাশই হবে তবে শেকম্পয়রের নাটককে কী বলবে। সংক্ষেপে উত্তর দেওয়া অসম্ভব অতএব একটু খোলসা করে বলি । আত্মরক্ষা এবং বংশরক্ষা এই দুই নিয়ম জীবজগতে কার্য করে । এক হিসাবে ছুটোকেই এক নাম দেওয়া যেতে পারে । কারণ, বংশরক্ষা প্রকৃতপক্ষে বৃহৎভাবে ব্যাপকভাবে স্বদুরভাবে আত্মরক্ষা । সাহিত্যের কার্ধকে তেমনি দুই অংশে ভাগ করা যেতে পারে। আত্মপ্রকাশ এবং বংশপ্রকাশ। গীতিকাব্যকে আত্মপ্রকাশ এবং নাট্যকাব্যকে বংশপ্রকাশ নাম দেওয়া যাক । আত্মপ্রকাশ বলতে কী বোঝায়, তার আর বাহুল্য বর্ণনার আবশুক নেই । কিন্তু ংশপ্রকাশ কথাটার একটু ব্যাখ্যা জাবশুক । লেখকের নিজের অস্তরে একটি মানবপ্রকৃতি আছে এবং লেখকের বাহিরে সমাজে একটি মানবপ্রকৃতি আছে, অভিজ্ঞতাস্থত্রে প্রতিস্থত্রে এবং নিগৃঢ় ক্ষমতাবলে এই উভয়ের সম্মিলন হয় ; এই সম্মিলনের ফলেই সাহিত্যে নূতন নূতন প্রজা জন্মগ্রহণ করে। সেই সকল প্রজার মধ্যে লেখকের আত্মপ্রকৃতি এবং বাহিরের মানবপ্রকৃতি দুইই সম্বন্ধ হয়ে আছে, নইলে কখনোই জীবস্ত স্বষ্টি হতে পারে না। কালিদাসের ছুষ্মন্তশকুন্তলা এবং মহাভারতকারের দুষ্মন্ত-শকুন্তলা এক নয়,—তার প্রধান কারণ কালিদাস এবং বেদব্যাস এক লোক নন, উভয়ের অস্তরপ্রকৃতি ঠিক এক ছাচের নয় ; সেইজন্ত তারা আপন অস্তরের ও বাহিরের মানবপ্রকৃতি থেকে যে দুষ্মন্ত-শকুন্তলা গঠিত করেছেন তাদের আকারপ্রকার ভিন্ন রকমের হয়েছে। তাই বলে বলা যায় না যে, কালিদাসের দুষ্মন্ত অবিকল কালিদাসের প্রতিকৃতি—কিন্তু তবু এ-কথা বলতেই হবে তার মধ্যে কালিদাসের অংশ আছে নইলে সে অন্তরূপ হত। তেমনি শেকস্পীয়রের অনেকগুলি সাহিত্য-সন্তানের এক-একটি ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্য পরিস্ফুট হয়েছে বলে যে তাদের মধ্যে শেকম্পীয়রের আত্মপ্রকৃতির কোনো অংশ নেই তা আমি স্বীকার করতে পারি নে। সে-রকম প্রমাণ অবলম্বন করতে গেলে পৃথিবীর অধিকাংশ ছেলেকেই পিতৃ-অংশ হতে বিচু্যত হতে হয়। ভালো নাট্যকাব্যে লেখকের আত্মপ্রকৃতি এবং বাহিরের মানবপ্রকৃতি এমনি অবিচ্ছিন্ন ঐক্য রক্ষা করে মিলিত হয় যে উভয়কে স্বতন্ত্র করা ছুঃসাধ্য। चखदब्र बांश्रिब्र ५ड़े ब्रकम ७ीकैौकब्र१ ना कब्रटङ •ांब्रहण ८कवलयांज बहन*िठी