পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য 8Գծ इ'क बाणिक नग्न, इम्रैौ नम्न, ७हेछछहे नठा नग्न । जङा नम्न कि नग्न, अम्न जडा । অর্থাৎ সেটা একরকম বিশেষ প্রকৃতির বিশেষ লোকের বিশেষ অবস্থার পক্ষে সত্য, তার বাইরে তার আমল নেই। অতএব মহন্তত্বের যতটা বেশি অংশ অধিকার করতে পারবে, সাহিত্যের সত্য ততটা বেশি বেড়ে যাবে। কিন্তু অনেকে বলেন, সাহিত্যে কেবল একমাত্র সত্য আছে সেটা হচ্ছে প্রকাশের সত্য। অর্থাৎ যেটি ব্যক্ত করতে চাই সেটি প্রকাশ করবার উপায়গুলি অযথা হলেই সেটা মিথ্যা হল, এবং যথাযথ হলেই সত্য হল । এক হিসাবে কথাটা ঠিক। প্রকাশটাই হচ্ছে সাহিত্যের প্রথম সত্য। কিন্তু ওইটেই কি শেষ সত্য ? জীবরাজ্যের প্রথম সভ্য হচ্ছে প্রটোপ্ল্যাজম, কিন্তু শেষ সত্য মানুষ । প্রটোপ্ল্যাজুম মামুষের মধ্যে আছে কিন্তু মানুষ প্রটেfপ্ল্যাজমের মধ্যে নেই। এখন, এক হিসাবে প্রটোপ্ল্যাজমকে জীবের আদর্শ বলা যেতে পারে, এক হিসাবে মানুষকে জীবের আদর্শ বলা যায় । সাহিত্যের আদিম সভ্য হচ্ছে প্রকাশমাত্র, কিন্তু তার পরিণাম-সভ্য হচ্ছে ইন্দ্রিয় মন এবং আত্মার সমষ্টিগত মানুষকে প্রকাশ। ছেলেভুলানো ছড়া থেকে শেকস্পীয়রের কাব্যের উৎপত্তি। এখন আমরা আদিম আদর্শকে দিয়ে সাহিত্যের বিচার করি নে, পরিণাম-আদর্শ দিয়েই তার বিচার করি । এখন আমরা কেবল দেখি নে প্রকাশ পেলে কিনা, দেখি, কতখানি প্রকাশ পেলে। দেখি, যেটুকু প্রকাশ পেয়েছে তাতে কেবল আমাদের ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তি হয়, না, ইন্দ্রিয় এবং বুদ্ধির তৃপ্তি হয়, না, ইন্দ্রিয় বুদ্ধি এবং হৃদয়ের তৃপ্তি হয়। সেই অনুসারে আমরা বলি অমুক লেখায় বেশি অথবা অল্প সত্য আছে । কিন্তু এটা স্বীকার্য যে, প্রকাশ পাওয়াটা সাহিত্যমাত্রেরই প্রথম এবং প্রধান আবশ্বক। বরঞ্চ ভাবের গৌরব না থাকলেও সাহিত্য হয় কিন্তু প্রকাশ না পেলে সাহিত্য হয় না। বরঞ্চ মুড়োগাছও গাছ কিন্তু বীজ গাছ নয়। আমরা পূর্বপত্রে এ-কথাটাকে বোধ হয় তেমন আমল দিই নি। তোমার প্রতিবাদেই আমার সমস্ত কথা ক্রমে একটা আকার ধারণ করে দেখা দিচ্ছে । কিন্তু যতই আলোচনা করছি ততই অধিক অনুভব করছি যে, সমগ্র মানবকে প্রকাশের চেষ্টাই সাহিত্যের প্রাণ। তাই তুমি ৰদি একটা টুকরো সাহিত্য তুলে নিয়ে বল, এর মধ্যে সমস্ত মানুষ কোথা তবে আমি নিক্ষত্তর । কিন্তু সাহিত্যের অধিকার যতদূর আছে সবটা যদি আলোচনা করে দেখ, তাহলে আমার সঙ্গে তোমার কোনো অনৈক্য হবে না। মানুষের প্রবাহ হ হ ক'রে চলে যাচ্ছে ; তার সমস্ত মুখদুঃখ