পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ses রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী তেমনি এই-যে সোনায় পান্নায় ছায়ায় আলোয় গাথা অবকাশের নেশায় মন্থর আষাঢ়ের দিন বিহবল হয়ে আছে মাঠের উপর ওড়না ছড়িয়ে দিয়ে, এর মাধুরীকেও মনে হয় আছে। তবু নেই, এ আকাশবীণায় গেীরসারঙের আলাপ সে আলাপ আসছে সর্বকালের নেপথ্য থেকে । A Vof Svovos শেষ দান ছেলেদের খেলার প্রাঙ্গণ ৷ শুকনো ধুলো, একটি ঘাস উঠতে পায় না । এক ধাৱে আছে। কাঞ্চন গাছ, আপন রঙের মিল পায় না। সে কোথাও । সে বাধা থাকে কোঠাবাড়ির বারান্দায় । দূরে রান্নাঘরের চার ধারে উদ্ধবৃত্তির উৎসাহে ঘুরে বেড়ায় দিশি কুকুরগুলো । ঝগড়া করে, মার খায়, আর্তনাদ করে, তবু আছে সুখে নিজেদের স্বভাবে । আমাদের টেডি থেকে থেকে দাড়িয়ে ওঠে চঞ্চল হয়ে, সমস্ত গা তার কাপতে থাকে, ব্যগ্ৰ চোখে চেয়ে দেখে দক্ষিণের দিকে, ছুটে যেতে চায়। ওদের মাঝখানে ঘেউ ঘেউ ডাকতে থাকে ব্যৰ্থ আগ্রহে । তেমনি কাঞ্চন গাছ আছে একা দাড়িয়ে, আপন শ্যামল পৃথিবীতে নয়, মানুষের-পায়ে-দলা গরিব ধুলোর পরে । চেয়ে থাকে দুরের দিকে ঘাসের পটের উপর যেখানে বনের ছবি আঁকা । GIKK KIFV er i কে জানবে হাওয়ার থেকে ওর মজায় কেমন করে কী বেদনা আসে । অদূরে শালবন আকাশে মাথা তুলে মঞ্জরী-ভরা সংকেত জানালে দক্ষিণসাগরতীরের নবীন আগন্তুককে ।