পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏬᎽ8 ل রবীন্দ্র-রচনাবলী হয় না সঞ্চারিত হয়, তাহ কৌশলের কারুকার্য নহে তাহ অক্ষয় জীবনের অক্লান্ত স্বষ্টি। মানুষ বলে সেই পথষাত্র আমার অসাধ্য, কেননা আমি দুর্বল আমি শ্রান্ত ; তাহার বলেন এইখানে স্থির হইয়া থাকাই তোমার অসাধ্য, কেননা তুমি মানুষ, তুমি মহৎ, তুমি অমৃতের পুত্র, ভূমাকে ছাড়া কোথাও তোমার সন্তোষ নাই । ষে ব্যক্তি ছোটো সে বিশ্বসংসারকে অসংখ্য বাধার রাজ্য বলিয়াই জানে, বাধামাত্রই তাহার দৃষ্টিকে বিলুপ্ত করে ও তাহার আশাকে প্রতিহত করিয়া দেয় এই জন্য সে সত্যকে জানে না, বাধাকেই সত্য বলিয়া জানে। যে ব্যক্তি বড়ো তিনি সমস্ত বাধাকে ছাড়াইয়া একেবারেই সত্যকে দেখিতে পান । এইজন্য ছোটোর সঙ্গে বড়োর কথার একেবারে এতই বৈপরীত্য। এইজন্য সকলেই যখন একবাক্যে বলিতেছে আমরা কেবল অন্ধকার দেখিতেছি তখনও তিনি জোরের সঙ্গে বলিতে পারেন— বেদাহমেতং পুরুষং মহাস্তং আদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাৎ । সমস্ত অন্ধকারকে ছাড়াইয়া আমি উাহাকেই জানিতেছি যিনি মহান পুরুষ, যিনি জ্যোতির্ময় । এইজন্য যখন স্পষ্ট দেখিতে পাইতেছি, অধৰ্মই আমাকে বাচাইতে পারে এই মনে করিয়া হাজার হাজার লোক জালজালিয়াতি মারামারি কাড়াকড়ির দিকে দলে দলে ছুটিয়া চলিয়াছে তখনও তাহারা অসংকোচে এমন কথা বলেন যে, স্বল্পমপ্যস্ত ধর্মত ত্ৰায়তে মহতো ভয়াৎ—অতি অল্পমাত্র ধর্মও মহাভয় হইতে ত্রাণ করিতে পারে ; যখন দেখা যাইতেছে সংকর্ম পদে পদে বাধাগ্রস্ত, তাহা মূঢ়তার জড়ত্বপুঞ্জে প্রতিহত, প্রবলের অত্যাচারে প্রপীড়িত; বাহিরে তাহার দারিদ্র্য সর্বপ্রকারেই প্রত্যক্ষ তখনও র্তাহারা অসংশয়ে বলেন, সর্ষপপরিমাণ বিশ্বাস পর্বতপরিমাণ বাধাকে জয় করিতে পারে। র্তাহারা কিছুমাত্র হাতে রাখিয়া কথা বলেন না, মানুষকে খাটো মনে করিয়া সত্যকে তাহার কাছে খাটো করিয়া ধরেন না ; তাহারা অসত্যের আস্ফালনকে একেবারেই অবজ্ঞা করিয়া বলেন, সত্যমেব জয়তে—এবং সংসারকেই যে-সকল লোক অহোরাত্র সত্য বলিয়া পাক খাইয়া ফিরিতেছে, তাহাদের সম্মুখে দাড়াইয়া ঘোষণা করেন—সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্ৰহ্ম-অনস্তস্বরূপ ব্ৰহ্মই সত্য । যাহাকে চোখে দেখিতেছি, স্পর্শ করিতেছি, যাহাকে জ্ঞানের শেষ বিষয় বলিয়া মনে করিতেছি সত্যকে তাহার চেয়েও তাহারাই বড়ো করিয়া দেখাইয়াছেন মানুষের মধ্যে র্যাহারা व८फ़ इड्रेञ्चां छब्रिोब्रां८छ्न । 轉 তাহাদের যাহা অনুশাসন তাহাও শুনিতে অত্যন্ত অসম্ভব। সংসারে যে লোকটি যেমন তাহাকে ঠিক তেমনি করিয়া দেখো এ পরামর্শটি নিতান্ত সহজ নহে কিন্তু এখানেই র্তাহার দাড়ি টানেন নাই, তাহারা বলিয়াছেন আপনার মতো করিয়াই সকলকে দেখো । তাহার কারণ এই আত্মপরের ভেদ যেখানে সেইখানেই তাহদের দৃষ্টি ঠেকিয়া যায় নাই