পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয় ૬૨૯ কৃপণত। দেশের কাজে ধারা টাকা সংগ্ৰহ করিয়া ফিরিতেছেন তাদের কেহ কেহ আক্ষেপ করিতেছিলেন যে, টাকা কেহ সহজে দিতে চাহেন না, এমন কি, র্যাদের আছে এবং যারা দেশামুরাগের আড়ম্বর করিতে ছাড়েন না, তারাও । 粗 ঘটনা তো এই কিন্তু কারণটা কী খুজিয়া বাহির করা চাই। রেলগাড়ির পয়লা দোসর শ্রেণীর কামরার দরজা বাহিরের দিকে টানিয়া খুলিতে গিয়া ষে ব্যক্তি হয়রান হইয়াছে তাকে এটা দেখাইয়া দেওয়া যাইতে পারে যে, দরজা হয় বাহিরের দিকে খোলে, নয় ভিতরের দিকে । দুই দিকেই সমান খোলে এমন দরজা বিরল। . আমাদের দেশে ধনের দরজাটা বহুকাল হইতে এমন করিয়া বানানে যে, সে ভিতরের দিকের ধাক্কাতেই খোলে। আজ তাকে বাহিরের দিকে টান দিবার দরকার হইয়াছে কিন্তু দরকারের খাতিরে কলকজা তে একেবারে একদিনেই বদল করা যায় না । সামাজিক মিগ্রিট বুড়ে, কানে কম শোনে, তাকে তাগিদ দিতে গেলেই গরম ಕ್ರೌಗ ಆದೆ | 事 মামুষের শক্তির মধ্যে একটা বাড়তির ভাগ আছে। সেই শক্তি মানুষের নিজের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। জন্তুর শক্তি পরিমিত বলিয়াই তারা কিছু স্বষ্টি করে না, মানুষের শক্তি পরিমিতের বেশি বলিয়াই তারা সেই বাড়তির ভাগ লইয়া আপনার সভ্যতা স্বষ্টি করিতে থাকে । কোনো একটি দেশের সম্বন্ধে বিচার করিতে হইলে এই কথাটি ভাবিয়া দেখিতে হুইবে যে, সেখানে মানুষ আপন বাড়তি অংশ দিয়া কী স্বষ্টি করিয়াছে, অর্থাৎ জাতির ঐশ্বৰ্ষ আপন বসতির জন্ত কোন ইমারত বানাইয়া তুলিতেছে ? ইংলণ্ডে দেখিতে পাই সেখানকার মানুষ নিজের প্রয়োজনটুকু সারিয়া বহু যুগ হইতে ব্যয় করিয়া আসিতেছে রাষ্ট্রনৈতিক স্বাতন্ত্র্য গড়িয়া তুলিতে এবং তাকে জাগাইয়া রাখিতে । த்த আমাদের দেশের শক্তির অতিরিক্ত অংশ আমরা খরচ করিয়া আসিতেছি রাষ্ট্ৰতন্ত্রের জন্ত নয়, পরিবারতন্ত্রের জন্ত। আমাদের শিক্ষাদীক্ষা ধর্মকর্ম এই পরিবারতন্ত্রকে আশ্রয় করিয়া নিজেকে প্রকাশ করিতেছে। আমাদের দেশে এমন অতি অল্পলোকই আছে যার অধিকাংশ সামর্থ্য প্রতিদিন আপন পরিবারের জন্য ব্যয় করিতে না হয়। উমেদারির দুঃখে ও অপমানে আমাদের